শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন

নগরকান্দায় পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় হট্টগোল হাতাহাতি

নগরকান্দায় পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় হট্টগোল হাতাহাতি

বাদশাহ মিয়াঃ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভায় হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে বিষয়টি নিয়ে আলাড়ন সৃস্টি হয়। রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নগরকান্দা পৌর মেয়র উপস্তিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরকান্দা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দুইটি কমিটি। যার একটির সভাপতি বিধান চদ্র বিশ্বাস ও অপরটির সভাপতি মনোরঞ্জন বিশ্বাস। দুইটি কমিটির জন্য বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক ও সামজিক জটিলতা তৈরী হয়। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। উদ্যেশ্য ছিল দুই পক্ষের বিবাদ মিটিয়ে সবার সাথ আলোচনা করে গ্রহনযোগ্য একটি কমিটি গঠন করা। সেই লক্ষে সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সভা চলাকালীন বিধান চদ্র বিশ্বাস ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকেরা কথা কাটাকাটি থেকে শুরু করে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপস্তিত আনসার সদস্যরা তাদের শান্ত করেন। এর ফলে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

পূজা উদযাপন কমিটির এক গ্রুপের সভাপতি বিধান চদ্র বিশ্বাস বলেন, আমরা একটি পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করি। যাহা ২০২১ সালর ৭ অক্টোবর তারিখ জেলা কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এর পর থেকে আমরা পরিষদটি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করে আসছি। মনোরঞ্জন বিশ্বাস একটি ভূয়া কমিটি দেখিয়ে আমাদের কাজকে বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করছে।

এ বিষয় মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি নিমাই চদ্র সরকার জানান, ইউএনও সাহেব অত্যান্ত ভালো একটা উদ্যোগ নিয়ছিলেন। কিন্তু সেটি সফল হয়নি। যা ঘটেছে তা ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা। সভা চলাকালীন সময়ে বিধান বিশ্বাস ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকেরা কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে এখন কোন সমস্যা নেই বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু এই বিষয়ে বলেন, আমি উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। এখনো সবাইকে সেভাবে চিনি না। এখানে পূজা উদযাপন পরিষদর দুইটি কমিটি, প্রতিদিন দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ করে। আবার তারাই আমাকে বলেছে সবাইকে নিয়ে বসে দুই পক্ষকে এক করে দিতে। সেই লক্ষ্যেই উপজেলায় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু হট্টগোলের কারনে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ করতে হয়। পরে তাদের দুই পক্ষকে বুঝানো হয়েছে। এটি নিয়ে যেন পরবর্তীতে দুই পক্ষ কোন ঝামেলা না করে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com