মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহারাজপুর ইউনিয়ন থেকে ৬ জন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। গত একদিনের তাৎক্ষনিক এক জরীপে দেখা যায় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সালাহউদ্দিন মিয়া অন্যদের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। সাক্ষাতকার প্রদানকারীরা এর কারন হিসাবে উল্লেখ করেছেন, সালাহউদ্দীন মিয়া চেয়ারম্যান থাকাকালিন সময়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি নিজে একজন সৎ ব্যক্তি হওয়ায় অসৎ ব্যক্তিরা তার কাছে প্রশ্রয় পায়নি। সামাজিক বিচার ব্যবস্থায় তার নিষ্ঠতা প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার আর্থিক স্বচ্ছলতার কারনে দরীদ্র মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি শুধু তার নিজ ইউনিয়নই নয়, পার্শবর্তী ইউনিয়ন গুলিতেও তার ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য সম্পদের মালিক সালাহউদ্দীন জন্মগতভাবেই আওয়ামী পরিবারের সন্তান।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে চেয়াম্যান প্রার্থী হিসাবে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাজপথের লড়াকু সৈনিক, আওয়ামী রাজনীতির আদর্শবান ব্যক্তি, মোঃ সালাহ উদ্দিন মিয়া। আওয়ামী লীগের থেকে নৌকা প্রতিক পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে রাজেন্দ্র কলেজে পাঠ্যাবস্থায় ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। পরবর্তিতে মুকসুদপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্ব নিষ্ঠার সংগে পালন করেন দীর্ঘদিন। দলের প্রতি তার আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ তাকে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে দ্বায়িত্ব অর্পন করে, সে দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন।
রাজপথে তার অদম্য ভূমিকার কারনে তিনি বিএনপির শাসন আমলে বারবার, মামলা হামলার শিকার হয়েছিলেন। মুকসুদপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতি অঙ্গনে নিবেদিত কর্মী, দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সহ অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান, বিবাহযোগ্যা কণ্যার পিতার পাশে দাড়ানো সহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা মূলক কাজের জন্য তিনি এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসাবে সুনাম কুড়িয়েছেন।
সালাহ উদ্দিন মিয়ার সাথে আলাপচারিতায় জানাযায়, মুকসুদপুর কাশিয়ানির মা মাটি মানুষের নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির হাত ধরে রাজনীতি অঙ্গনে বিচরণ করে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ ইং পর্যন্ত সুনামের সাথে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন যা এলাকার মানুষ স্মরণ করে তার কল্যানের জন্য দোয়া করে। ইউনিয়নবাসির ভালবাসার ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয়, তবে তাদের প্রতি আমার অনেক দায় রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তার কিছু কাজ এখনও অসমাপ্ত রয়েছে, আগামী নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিলে সেসব কাজ সমাপ্ত করার প্রত্যাশা রয়েছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মহারাজপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে নিজের সখ্যতা গড়ে তুলতে সম হয়েছেন বলে জানান সালাহউদ্দীন মিয়া।