শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
নগরকান্দা থেকে বাদশাহ মিয়াঃ
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ফরিদপুরের নগরকান্দায় পিঁয়াজের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে পিঁয়াজের বীজতলায় পানি জমে গেছে। ফলে পিঁয়াজের চারা পঁচে যাচ্ছে। এছাড়াও বোরো বীজতলার একই অবস্থা। বীজতলা পানির নীচে ডুবে আছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, পিঁয়াজ চাষে খ্যাত এ উপজেলায় এ বছর ৮ হাজার ৫ হেক্টোর জমিতে পিঁয়াজের চাষ হওয়ার কথা ছিল। যার বিপরিতে চাষীরা তাদের কাঙ্খিত বীজ তলা তৈরি করেছেন ৪ শত ২০ হেক্টোর জমিতে। অতি বৃষ্টিতে বীজতলায় পানি জমে চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন নতুন করে আবার বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করতে হবে। হিসাব মতে ৪ শত ২০ হেক্টোর বীজতলায় ৫১ মেঃ টন বীজ রোপন করেছিল। যাহার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। এছাড়াও ২শত ৫ হেক্টোর জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৩৫ হেক্টোর বোরো বীজ তলা পনির নীচে। এ ছাড়াও ২৭ হেক্টোর জমিতে গমের আবাদ হয়েছিল। সেটাও এখন পানিতে ডুবে যাওয়ায় তা পঁচে যাচ্ছে। সার্বিক দিক দিয়ে নগরকান্দার কৃষকরা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ক্ষেত থেকে পানি নামার পরে আবার বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করতে হবে। পুনরায় বীজতলা তৈরি করতে একদিকে যেমন পিঁয়াজ চাষে বিলম্ব হবে অন্যদিকে অর্থের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হলো। উপজেলার জগদিয়া গ্রামের পিঁয়াজ চাষী হুমায়ুন মিয়া জানান, তিনি ৬ কেজী বীজ কিনে বীজতলা তৈরী করেছিলেন আড়াই একর জমিতে পিঁয়াজের চাষ করতে। আশফরদী গ্রামের পিঁয়াজ চাষী রোকন উদ্দীন মাতুবর বলেন, আমি প্রতি বছর ১২ বিঘা জমিতে পিঁয়াজের চাষ করি। তাই এবছর সেই জমিতে পিঁয়াজের চাষ করতে ১৪ কেজী দানা কিনে বীজতলা তৈরী করেছিলাম। বৃষ্টিতে সব শেষ। এখন আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। যেহেতু প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ক্ষতি হয়েছে তাই সরকারের নিকট আমাদের বীজ কিনে দেয়ার দাবী জানাই। ছোট পাইককান্দী গ্রামের আরেক চাষী সাহেদ আলী বলেন, আমাদেরতো সব শেষ হয়ে গেছে। এখন সরকার যদি আমাদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা না করে তাহলে এত টাকা খরচ করে পুনরায় বীজতলা তৈরী করে পিঁয়াজের আবাদ করা সম্ভব না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন বলন, ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে নগরকান্দা উপজেলায় পিঁয়াজের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করতে আমাদের উপ সহকারীরা মাঠে আছেন।