বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাল্যকালের বিদ্যাপীঠ জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু গ্যালারী ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
এ গ্যালারীতে বঙ্গবন্ধুর বংশ পরিচয়, ছোট বেলা, ছাত্র জীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, মাঠে লড়াই সংগ্রাম, ব্শ্বি নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা সাক্ষাৎকারের দুর্লভ ছবি প্রদর্শণ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের উল্লেখযোগ্য সংবাদ এ গ্যালারীতে স্থান পেয়েছে। এছাড়া টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশ কিছু ছবিও রয়েছে এ গ্যালীরাতে।
জাতির পিতার জম্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলে গ্যালরীটি স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রাথমিক ও গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এবং সচিব মোঃ আকরাম-আল- হোসেন জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ গ্যালারীর অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে তারা গ্যালারীটি ঘুরেঘুরে দেখেন। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ সহ মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নতুন প্রজম্মের কাছে জানান দিতেই বঙ্গবন্ধুর বাল্যকালের বিদ্যাপীঠ জিটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু গ্যালারী করা হয়েছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি সংগ্রহে রাখা হয়েছে।এটি দেখে নতুন প্রজম্ম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছে। এরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েই ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ গড়বে।
৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজ সেন, লিয়াছা তাবাচ্ছুম বলে, আমরা গর্বিত বঙ্গবন্ধু এ স্কুলে পড়াশেনা করেছে। স্কুলে বঙ্গবন্ধু গ্যালারী করা হয়েছে। এ থেকে আমরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছি।আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বড় হতে চাই।আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আধুনিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ভূমিকা রাখবো।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিবরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯২৭ সালে এ স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৩০ সালে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এ স্কুলে পড়েছেন।তার এ আম্লান স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা স্কুলে এ গ্যালারী করেছি। এখান থেকে শিশুরা বঙ্গবন্ধু আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বড় হবে। তবে গ্যালরী করার পর আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।সব বয়সের মানুষ এ গ্যালারী পরিদর্শনে আসছেন।