বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
৫ মাস বেতন না পেয়ে কষ্টে কাশিয়ানীর ৩৭ স্বাস্থ্যকর্মী কোটালিপাড়ায় দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে না গিয়েই স্মৃতি রানী নিচ্ছেন বেতন থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কপ২৯-এ জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং প্রাক-২০৩০ উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনের আহ্বান সমকাল’র নির্ভীক সাংবাদিক গৌতম দাসের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী বরিশালকে পুনরায় শস্যভান্ডারে রূপান্তর করা হবে- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা কাশিয়ানী নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘হয়রানীর’ অভিযোগ ফরিদপুরে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে বিধবার জমি দখলের অভিযোগ মাদক না ব্যাংক ঋণ খেলাপি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার মুকসুদপুরের দিগনগরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, বাড়িঘর লুটপাট-ভাঙচুর
মুকসুদপুরে আমাদের একজন রিজভী আছেন

মুকসুদপুরে আমাদের একজন রিজভী আছেন

মাহবুব হাসান বাবরঃ
করোনা যুদ্ধে নাম লেখানোর আগেই তিনি একেছিলেন আল্পনা। কপালে বেধেছিলেন লাল কাপড়। গরীব রোগীদের কাছে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠছেন দেবী শেঠী। লম্বা- চওড়া সদা হাস্যজ্জ্বল মানুষটি ডেকে ডেকে কথা বলতেন এর ওর সাথে। হসপিটালের ইট -কাঠ- পাথরগুলো তখন তাকে দেখলে হেসে উঠতো। আড্ডাতেও তাকে পাওয়া যেতো সমানতালে। গায়ে জড়ানো সাদা ধবধবে পাঞ্জাবী। মুখের এক গোছাা দামী কেশ তাকে স্মার্টনেস থেকে একটুও আলাদা করতে পারেনি। সেবার মহানব্রত তাঁর হৃদয়ে আঁকা।
হ্যা! হ্যা আমি ডাঃ রিজভীর কথা বলছি
আমি করোনা যুদ্ধে নিজে জ্বলে জ্বলে আলো জ্বালাচ্ছেন সেই রিজভীর কথা বলছি। জীবনের মায়া ত্যাগ করে প্রতিদিন ছুটছেন- নমুনা সংগ্রহ করছেন আবার হসপিটালের সাধারন রোগীও সামলাচ্ছেন। পরিচিতজনদের কাছে ডাঃ রিজভী একটি বিশ্বস্থ নাম। যে নাম শুনলেই অসুখটা কিছুটাও হলে সুখ আছে।
চলনে -বলনে- কথনে মার্জিত এমন একজন ডাঃ অনেকদিন দেখা হয়না আমাদের। পেশাগত জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতা চাকরীর মেয়াদগত কারনে অন্যদের চেয়ে কম হলেও তার মেধা আর ধৈর্য্য সেইসাথে বাস্তব অভিজ্ঞতায় সেবার মান সন্তোজনক তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এই করোনা যুদ্ধে তিনি ছুটে গেছেন এ উপজেলা ছেড়েও অন্য উপজেলায়- ভিন্ন জেলায়। আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে থেকেছেন নির্দিষ্ট সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইন।
হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে তিনি আবার ছুটে চলেছেন মহামারি মোকাবেলায়।
এইতো আমাদের চাওয়া ছিলো।
আমাদের চাওয়া ছিলো মায়ের কোলে শিশু চেস্বারে আসলেই শিশু রোগী হেসে উঠবে- সাথে মা ও। আমরা এমনটাই পাচ্ছি। রাত দেড়টায় ক্রিং ক্রিং ফোনে কেউ বলবে,
ঃ আপনি কি ডাঃ রিজভী?
ফোনের ওপার থেকে ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলবেন,
ঃ জ্বি আমি রিজভী বলছি।
তারপর সে আতংকিত কন্ঠে বলবে,
ঃ বাবা আমার শরীরের এই সমস্যা- ঐ সমস্যা।
রিজভী হাসবেন তখন।
হেসে বলবেন,
ঃ চাচা ভয় পাবেন না। ওটা সিরিয়াস কিছুনা। কাল সকালে একবার হসপিটালে আসুন। ঔষুধ লিখে দেবো ঠিক হয়ে যাবেন ইনসাআল্লাহ।
স্বস্তি আর শংকা কিছুটা কাটিয়ে গ্রামের চাচা বালিশে তখন মাথা রাখবেন।
আজান হবার সাথে সাথে মানুষটি চলে যান আল্লাহর ঘরে। নামাজ শেষে জানিনা কি মোনাজাতে চান!
তবে তিনিযে আমাদের কথাও বলেন এটা হলফ করে বলতে পারি।
আমরা অনেকদিন পর সিনেমাটিক মনে হলেও একজন ডাক্তার পেয়েছি। যার হাত প্রসস্ত-যার মানসিকতা সেবার।
রন্ধে রন্ধে অনুভব হোক আমাদের একজন ডাঃ রিজভী আছেন- আমাদের একজন মুকসুদপুরের দেবীশেঠী আছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2024 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com