মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় দুটি ইউনিয়নের একটি গোবিন্দপুর ইউনিয়ন। উনত্রিশটি গ্রাম নিয়ে গঠিত এ ইউনিয়নের ভোটার সংখ্য ২০,৭৩৮জন। বিগত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ওবায়দুল ইসলাম। এর পূর্বের নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনেও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, দল তাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য যাকেই মনোনয়ন দিবে তার জন্য তিনি কাজ করবেন। গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন মিয়া বিগত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেলেও আগামী নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ইউনিয়ন সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছেন। দলীয় নেতা কর্মী ও ইউনিয়নের সাধারণ বিভিন্ন সমস্যায় সার্বক্ষনিকভাবে তাদের পাশে থেকেছেন। বিপুল অঙ্কের অর্থও এসব সামাজিক কাজে ব্যয় করতে হয়। দলের প্রতি তার আন্তরিকতা ও জনসমর্থন বিবেচনা করে দল তাকে মনোনয়ন দিবে এমন প্রত্যাশা করেন মোঃ ইলিয়াস হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এলাকায় ব্যাপক গনসংযোগ শুরু করেছেন মোঃ এনামুল হোসেন মোল্যা। তিনি জানান, তার মরহুম বাবা নওশের আলী মোল্যা এ ইউনিয়নে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন সহজ সরল মানুষ হিসাবে তিনি উপজেলার সুধী সমাজে পরিচিত ছিলেন। পারিবারিকভাবে তার পরিবারের এলাকায় যেমন পরিচিতি রয়েছে তেমনি সুনামও রয়েছে। গোবিন্দপুর ইউনিয়নে তিনি ইতি মধ্যে শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন এমন আশা প্রকাশ করেন এনামুল মোল্যা। উপরোক্ত তিনজন ইতিমধ্যে ব্যপক গনসংযোগ শুরু করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। অসমর্থিত একটি সূত্রে জানাগেছে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গেড়াখোলা গ্রামের লিটু লস্কর ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে হয়তো নির্বাচনে আসতেও পারেন।
চলবে…..