বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
লক ডাউনের মধ্যে অসহায় ও দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।
আজ সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র কৃষক রজত মুন্সির ১৭ কাঠা জমির পাকা ধান জেলা ছাত্রলীগের ৪০ নেতা কর্মী স্বেচ্ছায় কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গোপালগঞ্জের মাঠে মাঠে ইরি-বোরো ধান পেকেছে। করোনা মহামারী মধ্যে লকডাউন শুরু হয়েছে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় শ্রমিক আসতে পারছে না। এ কারণে ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষক পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তারা ধান কাটতে পারছেন না।
আমরা কৃষকের ধান কেটে দিতে মাঠে নেমেছি। সোমবার সেহেরী খেয়ে ফজরের নামজ পড়ে আমার হাটবাড়িয়া গ্রামের হত দরিদ্র কৃষক রজত মুন্সির ১৭ কাঠা জমির ধান কেটেছি। পরে ধান আঁটি বেধে রজত হোসেনের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। এ কাজটি আমি ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়াল সহ ৪০ ছাত্রলীগ নেতা কর্মী করে দিয়েছি।
জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা আরো বলেন, গত বছর আমরা কৃষকের পাশে থেকে ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। এ বছর রোজার মধ্যে আমরা ধান কাটার কাজ শুরু করেছি । অসহায়, গরীব ও প্রতিবন্ধী সহ বিভিন্ন কৃষকের ধান আমরা কেটে ঘরে তুলে দেব। আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। এতে কৃষকরা উপকৃত হবেন।
কৃষক রজত মুন্সি বলেন, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ স্বেচ্ছায় আমার জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। এতে আমার অন্তত ৩ হাজার টাকার শ্রমিক সাশ্রয় হয়েছে। এ ধান দিয়ে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে সারা বছর চলতে পারবো। এ মহানুভবতার জন্য জেলা ছাত্রলীগকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি ড. অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, বোরো ধান আমাদের এ জেলার কৃষকের প্রধান ফসল। এ ফসল ঘরে তুলতে পারলে কৃষক সার বছরের খাবার নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত থাকেন। কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে জেলা ছাত্রলীগ মাঠে নেমেছে। এতে কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। জেলা ছাত্রলীগের এ উদ্যোগকে আমরা অভিনন্দন জানাই।