মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
অপারেশনের সময় ফরসেফ পেটের ভেতরে রেখেই সেলাই। দুই বছর অসহ্য ব্যাথার কারনে এক্সরেতে ধরা পড়ে পেটের মধ্যে ফরসেফ রয়েছে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামের খাইরুল মিয়ার মেয়ে মনিরা খাতুন। নগরকান্দা উপজেলার পৈলানপট্টি গ্রামে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে পেটে ব্যাথা অনুভূত হচ্ছিল। এ অবস্থায়ই সে অন্তসত্তা হয়। কিছুদিন পড়েই পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেলে তাকে বাবা বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী। পেটের ব্যাথার চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারের নিকট যান মনিরা খাতুন মা বাবা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গাইনী অপারেশন করান দরিদ্র পরিবার। অপারেশন শেষে গত ০৯/০৩/২০২০ইং তারিখে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টারের স্বারিত ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। বাড়িতে এসে কিছুদিন পরেই আবার পেটে ব্যাথা শুরু হয়। অনেক ওষুধ খাওয়ার পরেও পেটের ব্যাথা না কমায় মুকসুদপুর হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পেটের এক্সরে করান। তখনই ধরা পড়ে পেটের মধ্য একটি ফরসেফ রয়েছে।
ডাক্তারের এই অসর্তকতার কারণে গরিব ও অসহায় রোগীকে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হলো। অসহায় এই রোগীর দীর্ঘ দুই বছর শারীরিক যে যন্ত্রনা ভোগ করছে তার দায় কে নিবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রত্যাশা করেন ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।