মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদারের সহযোগিতায় বিএনপি প্রার্থীর জয় এবং আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বিভা মন্ডল পরাজিত। নিজ দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে হারাতে ও বিএনপি প্রার্থী মিহির কুমার রায়ের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহযোগীতায় নির্বাচিত করেছেন বলে অভিযোগ তৃনমূলের।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মিহির কুমার রায় জলিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। জলিরপাড় ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদারের ওয়ার্ডের জলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন ১২৮৩ ভোট, সেখানে নৌকা প্রার্থী পেয়েছেন ৫০ ভোট। বিএনপি প্রার্থী মিহির কান্তি রায় আনারস প্রতিক পেয়েছে ৬৪৫৩ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিভা মন্ডল নৌকা প্রতিক পেয়েছে ৫৮৭৬ ভোট। ভোটের ব্যবধান ৫৭৭। নৌকার প্রার্থী বিভা মন্ডল ৯টি কেন্দ্রের ৮টি কেন্দ্রে ৬০০ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে ছিলেন। এমন পরাজয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদারসহ তাঁর ভাবাপন্ন লিটন বাকচী টুলু, লিটন খান ও রমেন মাস্টারসহ কয়েকজন নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কার্তিক সরকার এবং তৃনমূল পর্যায়ের নেতারা জানান, জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করে মীর জাফরকেও হার মানিয়েছে। বিপ্লব মজুমদার ঈর্ষার বসে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করায় এ ইউনিয়নটিতে নিশ্চিত জয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে আওয়ামী লীগ।
জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা সত্য নয়। তার নিজের কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী মাত্র ৫০ ভোট পাওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার জানান, জলিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর বিরোধিতা করেছে। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ইতোমধ্যে তাকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তাতে তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারাতে হবে বলে তিনি জানান, তবে প্রাথমিক সদস্য থাকবেন কিনা তা জানা যায়নি।
তৃণমূল নেতারা বিপ্লব মজুমদার এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠিন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।