রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও মানবেতর জীবন-যাপন করছে মানুষ। এমন সংকটের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করার জন্য অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াল আলহাজ্জ্ব মোঃ টুকু শেখ ও আয়েশা বেগম ফাউন্ডেশন। গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়ার বনেদি শেখ পরিবারের মরহুম হাজী মোঃ টুকু শেখের সন্তানদের হাতে গড়ে ওঠা পারিবারিক সংগঠন আলহাজ্জ্ব মোঃ টুকু শেখ ও আয়েশা বেগম ফাউন্ডেশন। যে সংগঠনটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আর্তমানবতার সেবায় বরাবরের মতো আবারও এগিয়ে এসেছে অসহায় মানুষের পাশে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের কাশালিয়া ইউনিয়নের ১৭৫ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করছে এ ফাউন্ডেশন। আজ ২৮ এপ্রিল মঙ্গল বার সকাল ১০ টায় মরহুম হাজী মোঃ টুকু শেখের নিজস্ব বাসভবনে কাশালিয়া ইউনিয়নের মোট ৯টি ওয়ার্ডের ১৭৫ টি অসহায় ও নিম্ন আয়ের পরিবারকে এই ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। ত্রাণ সহায়তার মধ্যে ছিল তেল, ডাল, চিনি, চিড়া, মুড়ি, ছোলা, খেজুর ও একটা করে মাস্ক এবং সাবান।
আলহাজ্জ্ব মোঃ টুকু শেখ ও আয়েশা বেগম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ও কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আসাদুজ্জামান নাসির বলেন সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান আলহাজ্জ্ব মোঃ টুকু শেখ ও আয়েশা বেগম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে আমরা ইউনিয়নের ১৭৫ টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি আরো বলেন আমার মরহুম পিতা আলহাজ্জ্ব মোঃ টুকু শেখের ইচ্ছা ও অনুপ্রেরণায় আমরা সব সময়ই আমাদের সাধ্যমত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি বাবার মৃত্যুর পরে আমরা বাবা ও মায়ের নামে পারিবারিক একটা ফাউন্ডেশন করেছি আমরা আমৃত্যু বাবার স্বপ্ন পূরণে মানুষের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনজীবনে যে স্থবিরতা নেমে এসেছে তার ছোঁয়ায় বিপর্যস্ত আমার নিজ জন্মভূমি কাশালিয়া আর এ জন্যই আমরা আমাদের সাধ্যের মধ্যে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি আরো বলেন প্রাথমিকভাবে আমরা ইউনিয়নের ১৭৫টি পরিবারকে সহায়তা করছি আমাদের এই সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমি আশা করছি কাশালিয়া ইউনিয়নের সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা এই মহাদূর্যোগের সময়ে দুস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবেন।