মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের শুয়াশুর গ্রামে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ শে মার্চ দুপুর ২টার দিকে শুয়াশুর গ্রামে দুলাল বাড়ৈর চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে দিশা বাড়ৈকে একই বাড়ীর শুসেন বাড়ৈর ছেলে আশিস বাড়ৈ (২৩) ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতার মা সুজাতা বাড়ৈ জানান আমার মেয়েকে ধর্ষক বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে হাত ধরে ঘরে টেনে নিয়ে যায়। ঘরে কোন লোক না থাকায় দিশাকে জোর করে ধর্ষন করে। এ সময় ধর্ষিতার আত্মচিৎকারে শুনে ধর্ষিতার মা একই বাড়ীর অন্যঘর থেকে ছুটে এলে ধর্ষক আশিসের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় এবং তার শিশু মেয়েকে ক্রন্দনরত অবস্থায় উদ্ধার করে। তার সোরচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসার আগে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক ধর্ষনের কথা স্বীকার করে।
এঘটনায় ধর্ষনের অভিযুক্তের চাচা স্বপন বাড়ৈ প্রভাব খাটিয়ে ঘটনাটি লোকচক্ষু এড়াতেই দুইপক্ষের মধ্যে গোপনীয় ভাবে সালিস করে দফারফা করতে চাইলে মেয়ের মা রাজি না হওয়ায় কয়েকদিন পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মাঝে বাকবিতন্ডরা সৃষ্টি হয় এবং ধর্ষিতার মাকে লাঞ্চিত করে। ধর্ষন এবং এঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিশে ধর্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু সালিশের এক মাস পার হলেও ধর্ষিতার পরিবার জরিমানার টাকা পায়নি। ধর্ষকের চাচা স্বপন বাড়ৈ প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবারকে বারবার ঘরছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছে। এলাকার কোন মানুষ তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ না খুল্লেও গোপনে ঘটানার সত্বতা শিকার করেন সালিশকারীগণ এবং এলাকার লোকজন।
পরবর্তীতে ধর্ষিতার পিতা দুলাল বাড়ৈই বিচার না পেয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করে। ধর্ষিতার পরিবার তার শিশু কন্যা ধর্ষিত হওয়ায় আইনের কাছে উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন।