শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড়া ইউনিয়নের বেজড়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। থানায় একজন গ্রেফতার।
শনিবার সন্ধ্যায় মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড়া ইউনিয়নের বেজড়া ভাটরা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহত ৭ পুলিশ সদস্যকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোপালগঞ্জ পুলিশের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা জানান, গত ৬ মে মুকসুদপুর উপজেলার দিস্তাইলে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ওই দিন মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় মামলা নং ৭। শনিবার বিকেলে এ মামলার আসামি নিজাম মোল্লা (৫২) ও নুরু মোল্লাকে (৪০) সহ আরো দুজনকে পুলিশ দিস্তাইল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। তাদের মুকসুদপুর থানায় নিয়ে আসার পথে সন্ধ্যায় বেজড়া নামক স্থানে খান্দারপাড় ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খানের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি নুরু মোল্লাকে ছিনিয়ে নেয়। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে অপর আসামি নিজাম মোল্লাকে হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। ওই আসামিকে মুকসুদপুর থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ১। এএসআই শামসুল, ২। এসআই আবুল হাসান, ৩। এসআই শফিকুল, ৪। কনস্টেবল রবিউল ইসলাম, ৫। কনস্টেবল শাকিব আল হাসান, ৬। কনস্টেবল নূর হোসেন সম্রাট, ৭। কনস্টেবল তানভীর হোসেন।
জেলা পুলিশের ঊর্ধতন ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আহত ৭ পুলিশ সদস্য মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে খান্দারপাড় ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খান বলেন, এজাহারভুক্ত আসামি না হওয়ায় পুলিশ ৩ জনকে ধরে ছেড়ে দিয়ে গেছে। তবে আসামি ছিনতাইর কোন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ উল্টো আমার ৫০-৬০ জন সমর্থককে লাঠি চার্জ করে আহত করেছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বলেন, সংঘর্ষ ও বাড়ি ভাংচুর মামলার ৪ আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ৩ আসামিকে গ্রামবাসীরা ছিনিয়ে নিয়েছে। অপর এক আসামিকে মুকসুদপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মুকসুদপুর থানা সূত্রে জানাযায়, উক্ত ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় ৩৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে মামলা নং ১০, তারিখ: ০৯ মে ২০২০। এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।