রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহুতের্র ভিডিও ধারন করে ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে ভাইরাল করেছে কয়েক কিশোর। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৪ কিশোরসহ ৫ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় একটি পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন । পরে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে মূল আসামী সুমন মন্ডলকে (১৮) মোবাইলসহ গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছে ।
পুলিশ, এলাকাবাসি ও মামলার বিবরনে জানাযায়, মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের হিরালাল বাড়ৈর ছেলে দলিল লেখক দুই সন্তানের জনক সঞ্জয় বাড়ৈর (৩৬) সাথে একই উপজেলার ননীক্ষীর গ্রামের দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ নিপা বাড়ৈর (২৫) পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিলো । এক পর্যায় সে তার পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে গত ২৯ মার্চ ২০২১ গোপালগঞ্জ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দলিল লেখক দুই সন্তানের জনক সঞ্জয় বাড়ৈর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । পরে দুইজনেই নিজেদের বিবাহের তথ্য গোপন রেখে প্রায়ই অন্তরঙ্গ মুহুর্ত কাটাতেন । এ ঘটনা নজরে আসে এলাকার কয়েক কিশোরের । গত ১৬ এপ্রিল রাতে দলিল লেখক সঞ্জয় তার ২য় স্ত্রীর (নিপার) সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্ত কাটানোর সময় এলাকার কয়েক কিশোর ওই অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও মোবাইলে ধারন করে ইমু ও ম্যাসেঞ্জারে ভাইরাল করে দিলে মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় তুমুল আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে । এ ঘটনায় অবশেষে সোমবার রাতে ভুক্তভোগি গৃহবধূ বাদি হয়ে ৪ কিশোরসহ ৫জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় একটি পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন । ভূক্তভোগি দলিল লেখক সজ্ঞয় বাড়ৈ জানায়, কিশোর সুমন মন্ডলসহ কয়েকজন আমার ও আমার স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও গোপনে ধারন করে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে । টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওরা ওই ভিডিও বিভিন্ন মোবাইলে ছেড়ে দেয় ।
সাবেক ননীক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন জানায়, দলিল লেখক সঞ্জয় বাড়ৈ এর পূর্বেও কয়েকটি নারী কেলেংকারীর ঘটনা ঘটিয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, মূল ভিডিও ধারনকারী কিশোর সুমন মন্ডলকে মোবাইলসহ গ্রেফতার করে মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে । বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।