রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে লিবিয়া থেকে ইতালী যাবার সময় ভুমধ্যসাগরে হিটস্ট্রোক এ প্রাণ গেলো গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ধোপাদি গ্রামের মোঃ ইকরাম মৃধার ছেলে আবজাল মৃধার। নিহতের লাশ তিউনিশিয়ার একটি হাসপাতালে রয়েছে বলে জানা গেছে। আবজাল মৃধার বাড়ি গেলে দেখা যায় সন্তান হারানো পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এই ঘটনায় দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পরিবারের ছোট সন্তানটি আর বাড়ি ফিরবে না, এই শোক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। আবজালের মৃত্যুর খবর আসার পর পরই চলছে কান্নার রোল।
স্বজনরা জানান, তিন মাস আগে দালালদের খপ্পরে পড়ে মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ধোপাদি গ্রামের ইকরাম মৃধার ছেলে লিবিয়ায় আটকা পড়ে। গত ১৯ জুলাই লিবিয়া থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় দালালরা ইতালীর উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে বাধ্য করে। পরে মাঝপথে নষ্ট হয়ে যায় ট্রলারটি। এতে প্রচন্ড রোদে হিটস্ট্রোকে প্রাণ হারায় আবজাল মৃধা। একই ট্রলারে থাকা সহযাত্রীরা আবজালের পরিবারের সদস্যদের জানান, আবজাল প্রচন্ড গরমে পানি পিপাশায় মারা গেছে।
নিহতের মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, “ছেলের সাথে সর্বশেষ আমার ১৭ জুলাই ফোনে কথা হয়েছে সে তখন খুব অসুস্থ্য ছিল। এরপর থেকে বার বার দালালদের ফোন দিচ্ছি তারাও ফোন ধরছে না।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের মানব পাচারচক্রের সদস্য আক্কাস ফকিরের ছেলে ইলিয়াছ ফকির ইতালী যাবার স্বপ্ন দেখিয়ে আবজালের পরিবারের কাছ থেকে দুই দফায় আদায় করে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ধারদেনা করে এই টাকা জোগাড় করে দিলেও শেষরক্ষা হয়নি আবজালের। এ ঘটনার সাথে জড়িত দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। মৃতের লাশ ফিরে পেতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারটি।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।