সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
সালথায় বল্লভদী সাহিত্য উৎসব ও সম্মাননা প্রদান মুকসুদপুরে ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময় মুকসুদপুরে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা মুকসুদপুরে সিনজেনটার কীটনাশক নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে করনীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরে ৫৩ তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুর পৌরসভার সেবা কার্যক্রম স্থবির, চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী মুকসুদপুরে দেশীয় অস্ত্র ও পিক-আপসহ ৬ ডাকাত আটক গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এম. আনিসুল ইসলাম ভুলু কোটালীপাড়ায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা মুকসুদপুরে ৪৬তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
দাকোপে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় মামলা

দাকোপে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় মামলা

জিএম, আজম, দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি:
দাকোপ উপজেলার খাটাইল গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারপিট ও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন গুরুতর আহত হয়। এরমধ্যে এক জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হামলার ঘটনায় আনন্দনগর গ্রামের মৃত তারাপদ তরফদারের ছেলে চিত্তরঞ্জন তরফদার বাদী হয়ে গত শনিবার প্রতিপক্ষ সাত জনের নাম উল্লেখ করে দাকোপ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে অভিযুক্তরা হলেন গোড়কাঠি গ্রামের পঙ্কজ সরদারের ছেলে শোভন সরদার (২৭), মৃত সুরেন সরদারের ছেলে পঙ্কজ সরদার (৪০), পরিমল সরদার (৪৫), রমেশ সরদার (৪৮), আনন্দনগর গ্রামের মৃত সুনিল গোলদারের ছেলে বিজন গোলদার (৫০), মৃত সুরেন গোলদারের ছেলে রুহিদাস গোলদার (৫৫) ও তার ছেলে বিপ্রদাস গোলদার (২৮)।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে চিত্তরঞ্জন তরফদার ও তার ছেলে চয়ন তরফদার নিজেদের জমিতে আমনের বীজতলা করার জন্য আইল প্রস্তত করে। এসময় অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে এসে তাদেরকে বীজতলা প্রস্তুত কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং অকথ্যভাষায় গালাগালি করতে থাকে। তখন চয়ন তরফদার প্রতিবাদ করায় বিজন গোলদারের হুমকে শোভন সরদার তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে চয়ন মাটিতে পড়ে গেলে বাকি অভিযুক্তরা বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।

এসময় চয়নকে উদ্ধার করতে গেলে তারা চিত্তরঞ্জনকেও মারধর করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে পানিতে ডুবিয়ে ধরে। পরে স্থানীয়রা ঘটনা স্থলে ছুটে এলে অভিযুক্তরা চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে চয়ন ও চিত্তরঞ্জনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পরে চয়নের শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখা দিলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় স্বজনরা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাকোপ থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ মালাকার বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষেরই দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্ত করা হচ্ছে। মেডিকেল রির্পোট পাওয়ার পর তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তারপর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2024 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com