বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ১৫ নং কাশালিয়া ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কাশালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার প্রতীক নৌকার মাঝি হতে চান তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আসাদুজ্জামান নাসির। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে তিনি খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর ঐক্য ততোই বাড়ছে।
ঐতিহ্যবাহী কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাশালিয়ার বনেদি শেখ পরিবারের মরহুম হাজী শেখ মো: টুকু মিয়ার জৈষ্ঠ পূত্র শেখ মো: আসাদুজ্জামান (নাসির)। আওয়ামী লীগের অন্ত:প্রান এক সমভ্রান্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা তার। বাবার কাছে শেখ মুজিবের গল্প শুনতে শুনতে সেই আদর্শ নিয়ে বেড়ে ওঠা আসাদুজ্জামানের রাজনীতির হাতেখড়ি শুরু হয় রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ফরিদপুরে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে। আওয়ামী লীগের দু:সময়ের পরীতি এই মুজিব সৈনিক সব সময়ই নেতা-কর্মী তথা সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। ৮২ নং মালদিয়া-কাশালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই দুইবার সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, এমকেবিএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক এই সদস্য পিটিএ(প্যারেন্টস এন্ড টিসার্স এসোসিয়েশন) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজ বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আলহাজ্জ মোঃ টুকু শেখ ও আয়েশা বেগম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বিভিন্ন সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও কাশালিয়ার অনেক সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে, সংসদ সদস্য জননেতা ফারুক খানের হাতকে শক্তিশালী করতে, আগামীর বাংলাদেশ খ্যাত কানতারা খানের আধুনিক মুকসুদপুর গড়ার প্রত্যয়ে কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন কাশালিয়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় মুখ সবার প্রিয় আসাদুজ্জামান নাসির।
সাম্প্রতিক সময়ে কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আসাদুজ্জামান নাসিরের ইতিবাচক ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদেেপর ফলে সমগ্র ইউনিয়নে তিনি এখন আলোচনার কেন্দ্রে আছেন। করোনাকালীন সময়ে সমগ্র ইউনিয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুইবার খাদ্য সহয়তা প্রদান, মুজিব বর্ষ উপল্েয শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের সহযোগীতায় নিজ বাসভবনে আই ক্যাম্প করে ৫২৩ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ২৫০ জন রোগীকে চশমা কিনে দেওয়া। ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য হিন্দু-মুসলিম মিলে প্রায় ৮ শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি-কাপড় ও লুঙ্গি বিতরন। ইউনিয়নের সকল মসজিদ ও মন্দিরে ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর প্রাণপুরুষ জননেতা ফারুক খান ও কানতারা খানের জন্য দোয়ার আয়োজন করেন। জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ রোধে ইউনিয়নের সকল ইমামদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই মতবিনিময় সভার আয়োজন ও সর্ব শেষ ঈদে ইমামদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন। জননেতা ফারুক খানের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের ১৩ টি মসজিদ ও ৩ টি মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কাশালিয়া ইউনিয়িন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নাসির বলেন, উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য। আমি নির্বাচিত হলে অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করবো। হিন্দু-মুসলমান ও খৃষ্টান অধ্যুষিত আমার ইউনিয়নকে একটা অসাম্প্রদায়িক আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব। দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসসহ সব অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,আমার প্রতি আমাদের অভিভাবক জননেতা ফারুক খান আস্থা রাখবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবং আমি নিশ্চিত করছি প্রিয় নেতার বিশ্বাসের প্রতিদান অবশ্যই দিব। আগামী দিনে ক্ষুদা,দারিদ্র ও মাদক মুক্ত এক উন্নত কাশালিয়া গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি উন্নয়নের জোয়ারে পিছিয়ে থাকা কাশালিয়া ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এলাকার মানুষের মনের চাওয়া-পাওয়া ও প্রত্যাশা গুলো আমাদের প্রিয় নেতা ও অভিভাবক জননেতা ফারুক খানের কাছে পৌঁছে দিব।
একজন সৎ, যোগ্য, নিষ্ঠাবান ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত সহজ সরল মিষ্টভাষী শেখ মোঃ আসাদুজ্জামান আরো বলেন ‘অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে কখনো আপোস করিনি। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এলাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা,কবরস্থান, মন্দির ও শ্মশানের উন্নয়ন, খেলার মাঠ নির্মাণ, রাস্তা সংস্কার, দীর্ঘমেয়াদি টেকসই রাস্তা নির্মাণ করবো। সে লক্ষেই দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ ইউনিয়নকে আমি মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করে একটি মডেল ইউনিয়ন গড়ার লক্ষ্যে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে আমাকে অবশ্যই মনোনয়ন দেবেন এটাই প্রত্যাশা করছি। আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে সকলকে সাথে নিয়ে পরিকল্পিত ইউনিয়ন গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।’
চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে থাকা কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ মোঃ আসাদুজ্জামান নাসির নির্বাচনী মাঠে নতুন মুখ হলেও ইউনিয়নের দল-মত নির্বিশেষে সকল ধর্ম ও শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে অতি পরিচিত এক নাম। এলাকার যে কোন মানুষ সমস্যায় পড়লে তাৎণিক ছুটে যান তিনি। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের আস্থার প্রতিকে পরিণত হয়েছেন তিনি। তার মত একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অবহেলিত কাশালিয়া ইউনিয়ন উন্নয়নের জোয়ারে সামিল হয়ে উন্নত ও আধুনিক কাশালিয়া গড়ে তুলতে পারবেন বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন।