বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
মুকসুদপুরে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা মুকসুদপুরে সিনজেনটার কীটনাশক নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে করনীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরে ৫৩ তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুর পৌরসভার সেবা কার্যক্রম স্থবির, চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী মুকসুদপুরে দেশীয় অস্ত্র ও পিক-আপসহ ৬ ডাকাত আটক গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এম. আনিসুল ইসলাম ভুলু কোটালীপাড়ায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা মুকসুদপুরে ৪৬তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন মুকসুদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। আহত ২০ মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নিহত ২
মুকসুদপুরে ঘুস নিয়ে ভূমিহীনকে হয়রানির অভিযোগ তহশীলদারের বিরুদ্ধে

মুকসুদপুরে ঘুস নিয়ে ভূমিহীনকে হয়রানির অভিযোগ তহশীলদারের বিরুদ্ধে

বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ১৭নং জলিরপাড় ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা, ভূমিহীন, হতদরিদ্র ও ফুটপাতের চা বিক্রেতা বিবেক হালদারের নিকট থেকে সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে জমির বন্দোবস্ত বা ঘুসের টাকা কোনটাই ফেরত না দিয়ে উল্টো ভুক্তভোগী সেই ভূমিহীনকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জলিরপাড় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) এস, এম রকিব উদ্দিন সরদারের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগি বিবেক হালদার। তবে অভিযুক্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) এস, এম রকিব উদ্দিন সরদাররের দাবি, সরকারী জায়গায় ঘর তুলতে বাধা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগে জানাযায়, মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নে মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বিমল হালদারের ছেলে বিবেক হালদার নদীর পূর্ব পাড়ে জেগে ওঠা চরে ১নং খাস খতিয়ান ভূক্ত খেয়াঘাট সংলগ্ন চরে দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবত অস্থায়ী ঘর নির্মাণ ও বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করে বসবাস করে আসছিলো সম্প্রতি সিত্রাং ঝড়ে তার ঘরের চালা নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে, সে ঘর উঠিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে গেলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তাকে ঘর তুলতে বাঁধা দেন এবং বলে তুমি আমার সাথে দেখা করো। তখন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তাকে ইউএনও অফিস, এসিল্যান্ড অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে খরচের কথা জানিয়ে ১ লক্ষ টাকা ঘুস দাবি করেন। বিনিময়ে উক্ত খাস জায়গার দলিল দিবে মর্মে জানায়। পরে ভূমিহীন বিবেক সুদে ঋণ গ্রহন করে অনেক কষ্টে ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তাকে চলতি বছরের গত ১১ সেপ্টেম্বর রোববার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে তহশীল অফিসের উত্তর পাশের কক্ষে বসে ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করে এবং তিনি তা গুনে নেন। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা উক্ত খাসজমির বন্দোবস্ত না দিয়ে বিবেক হালদারকে ঘুরাতে থাকে এবং বলে আরো ৫০ হাজার টাকা দিলে তোকে জায়গা দেওয়া হবে।

শেষমেষ উপায়ন্তর না দেখে বিবেক হালদার গত ২৬ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। যার অনুলিপি মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুকসুদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে প্রেরণ করেন। অসহায়, হতদরিদ্র, নদী ভাঙ্গন কবলিত, ভুমিহীন বিবেকের দাবি প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতিবাজ ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিচারসহ ভূমিহীন হিসেবে সে যেন উক্ত খাসজমির বন্দোবস্ত পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পান সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানায়, এছাড়াও মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ভূমিহীনদের সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়া, ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো সেবা নিতে সরকার নির্ধারিত ফি-এর চেয়ে তাকে অতিরিক্ত ঘুস না দিলে কোন কাজ হাসিল না হওয়া সহ ভূমি সেবা প্রত্যাশীদের নানা অজুহাতে দিনের পর দিন ঘুরানোর অভিযোগ এবং সরকারি কর্মচারী হয়েও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে পক্ষ-বিপক্ষ তৈরীর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত তহশীলদার এস এম রকিব উদ্দিন সরদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, সরকারী জায়গায় ঘর তুলতে বাধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমশিনার (ভূমি) অফিসার অমিত কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের কপি নজরে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2024 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com