বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার ১১৫ নং বরইভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষক স্মৃতি রানী বিশ্বাস গত এক বছর যাবত বিদ্যালয়ে না এসে প্রতি মাসের বেতন উত্তোলন করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্মৃতি রানী বিশ্বাসের উপস্থিতিজনিত গত এক বছরের স্বাক্ষর দেখা যায়নি।শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের কোনো ক্লাস নিয়মিত হয়না। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসেনা। প্রাক প্রাথমিকের জন্য নির্দিষ্ট একটি সাজানো-গোছানো কক্ষ থাকার কথা থাকলেও বরইভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা নেই। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতা রানী মধুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, স্মৃতি রানী বিশ্বাস ডেপুটেশনে কোটালিপাড়া উপজেলার ৩নং পূর্ব বাগান উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে মমতা রানী মধু প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষক স্মৃতি রানী বিশ্বাসের ডেপুটেশনে ৩নং পূর্ব বাগান উত্তরপাড়া বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত কোনো অফিস আদেশ দেখাতে পারেননি।
জানা গেছে স্মৃতি রানী বিশ্বাসের শ্বশুর বাড়ি বাগান উত্তর পাড়া গ্রামে বলে কোটালিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে ১১৫ নং বরইভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন না করে ৩নং পূর্ব বাগান উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন বলেও শোনা গেছে। স্মৃতি রানী বিশ্বাস স্বীকার করেছেন যে তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনের নির্দেশে ৩নং পূর্ব বাগান উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন গত এক বছর যাবত। বরইভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতা রানী মধু বলেন,আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য হয়েছি।
কোটালিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্মৃতি রানী বিশ্বাসের বাড়ী দুরে বিধায় আমি তাকে সহায়তা করেছি। এতে আমি কোনো প্রকার লাভবান হইনি। অফিস আদেশ ছাড়া এমন নির্দেশনা দেয়া সরকারি বিধিমালার পরিপন্থী।