শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরে এক পাসলা বৃষ্টিতেই খানা-খন্দে ভরা পাকা সড়কে পানি-কাঁদায় একাকার হওয়ায় দেখে মনে হবে এ যেন সড়ক নয় ছোট ছোট পুসকনি। প্রতিনিয়তই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কের চলাচলরত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণের। মাঝে মাধ্যেই ঘটে চলছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তারপরও মনে হয় সড়কটি দেখার কেউ নেই।
রাণীনগর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বিজয়ের মোড় হতে রেলগেট পর্যন্ত, থানা মোড় থেকে বিজয়ের মোড় ও উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিজয়ের মোড়ে যাওয়ার পথে, রাণীনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, ডালপট্টি হয়ে হাসপাতাল রোড এবং রাণীনগর বাজার থেকে সিম্বা বাজার ও ছয়বাড়িয়া ব্রীজ পর্যন্ত যাওয়ার সড়কসহ উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি প্রধান সড়কগুলো মাঝের পাঁকা উঠে যাওয়াই বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় মারাতœক খানা-খন্দক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও সংস্কারের অভাবে এইসব বড় বড় গর্ত ভরাটসহ রাস্তার উল্লেখযোগ্য সংস্কার না করায় পথচলা মানুষের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
রাণীনগর উপজেলা ধান চাষের জন্য বিখ্যাত বলে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন হিসেবে বড় ট্রাক, বাস, ট্রাক্টর, মিনি ট্রাক, ভটভটি-লছিমন, অটোভ্যানসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে। এতে করে রাস্তাগুলোর ভোগান্তি দিন-দিন আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা সংস্কারের কাজ চললেও উপজেলা সদরের প্রধান ব্যস্ততম সড়কগুলো সংস্কারের দিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের। বিশেষ করে রাণীনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনের রাস্তায় বড় বড় বিপদ জনক খানা-খন্দক হওয়াই এই বিদ্যালয়সহ মহিলা অনার্স কলেজের ছাত্রীদের যাতায়াত করতে প্রতিক্ষণই নানা বিড়ন্বনায় পড়তে হয়।
এই সড়কটি জেলা শহর নওগাঁ যাওয়ার একমাত্র পথ হওয়ায় শত দূর্ভোগকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। অচিরেই এই দুর্ভোগ হতে উত্তোরণ পেতে চান যাত্রী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
এব্যাপারে রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের পাকা অংশ উঠে গিয়ে ছোট-বড় বিপদজনক খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলের জন্য এটাই প্রধান সড়ক হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমার ফলে যানবাহন চলাচলের সময় পানি-কাঁদা ছিটে পড়ে শিক্ষার্থীদের কাপড় নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
রাণীনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: আহসান হাবিব স্বপন বলেন, উপজেলা প্রশসানের চার পাশে প্রতিটি সড়কই এখন জনগণের চলাচলের অযোগ্য। তারপরও স্থানীয়রা ভোগান্তি নিয়ে কাঁদা পানিতে চলাচল করছে। অতি শীঘ্রই জনস্বার্থে এই সড়ক গুলো সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছি।
নওগাঁর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হামিদুল হক বলেন, রাণীনগর বাসস্ট্যান্ড গোলচত্ত্বর হতে বিজয়ের মোড় হয়ে আবাদপুকুর পর্যন্ত সড়কের প্রশ্বস্ত করণ কাজের দরপত্র শেষে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ করছেন। অল্প দিনের মধ্যে এই খানা-খন্দ গুলো থাকবে না।