শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় নতুন করে আরো ৮ জন করোনারোগী সনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মুকসুদপুরে মোট ৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস-এর অস্তিত্ব মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হোম আইসোলেশনে আছে ২২জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রিজভী আহম্মাদ।
জানা যায়, ২৬ মে মঙ্গলবার মুকসুদপুর উপজেলার টেংরাখোলা বাজারের ব্যবসায়ীর পরিবারের ১০ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর পরে ২৯ মে শুক্রবার মুকসুদপুর পৌরসভার ৬ জন ও পৌরসভার বাইরে আরো ২ জনের নমুনায় করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য গত ২৪ মে মুকসুদপুর উপজেলা সদর বাজারের প্রতিষ্ঠিত বস্ত্র ব্যবসায়ীর ছেলে ইলান জ্বর, কাশি নিয়ে মুকসুদপুর হাসপাতালে যান। তাকে চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাখেন। চিকিৎসকরা তাকে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকতে পরামর্শ দেন। তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ না মেনে মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে বন্ধুদে সাথে সময় কাটিয়েছেন। ইলান ঈদের দিন সকাল থেকে মুকসুদপুর উপজেলার কেজি স্কুল মাঠে বন্ধু সহ পরিচিত জনদের নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। অনেকের সাথেই মিশেছেন ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। ২৭ মে বুধবার ইলানের নমুনা পরীক্ষায় করোনার সনাক্ত হয় । তাকে বুধবার রাতে আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আক্রান্ত ইলানের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইলানের এক বন্ধু জানান, ইলান করোনা নিয়ে খুব বেশি বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের সংস্পর্শে গেছেন। ঈদের দিন মাস্তি করেছেন। এখন তার সংস্পর্শে যাওয়ারা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আতংকে ভুগছেন । উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত ইলানের সংস্পর্শে আসাদের হোমকোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত ও করোনা পরীক্ষা করা ।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, বুধবার যার করোনা সনাক্ত হয়েছে, তিনি অনেককেই করোনা ঝুকির মধ্যে ফেলেছেন। এখন আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সংস্পর্শে আশাদের হোমকোয়ারেন্টিন নিশ্চিত ও উপসর্গ দেখা দেয়াদের নমূনা সংগ্রহ করে ফরিদপুর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি । এছাড়া তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। পরিবারে সদস্যদের হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে । পাশাপাশি পরিবারের সদ্যদের নমূনা সংগ্রহ করা হয়। আজ তার পরিবারের ৬ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
মুকসুদপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিজভী আহমাদ বাংলার নয়নকে জানান, মুকসুদপুরের করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। উপজেলা বাসীর সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরী। তিনি আরো জানান, আমাদের সকলকে আরো বেশি সর্তক থাকতে হবে এবং নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।