শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষের বস্তাবন্দী গলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৪১ ঘণ্টার মধ্যে লাশের পরিচয় ও মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে হত্যাকারী আপন ছেলে হুমায়ুন মাতুব্বর (৪০)।
মঙ্গলবার রাতে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বস্তাবন্দী লাশটি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার নয়াকান্দি কাশিমপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে আব্দুস সালাম মাতুব্বরের (৭৩)। এ হত্যার সাথে জড়িত একমাত্র আসামি মৃতের আপন ছেলে হুমায়ুন মাতুব্বরকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।
প্রায় তিন মাস গ্যাংরিয়া রোগে আক্রান্ত অসুস্থ আব্দুস সালাম ও তার ছেলে হুমায়ুন একই ঘরে বসবাস করতেন। বাবার পায়ের পচা দুর্গন্ধ সইতে না পেরে হুমায়ুন স্ত্রী-সন্তানসহ শশুর বাড়িতে চলে যায়। বাবার বিভিন্ন ফরমায়েশ শুনতে শুনতে ছেলেও অতিষ্ঠ হয়ে গত ৭ আগস্ট রাত ৩টার দিকে ঘরে থাকা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যথানাশক অ্যালোপ্যাথিক ও হোমিও প্যাথিক ওষুধ অতিরিক্তমাত্রায় সেবন করিয়ে সে বাবাকে অচেতন করে রাখে। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বাবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ছেলে লাশ গুম করার উদ্দেশে বস্তায় ভরে তাতে চারটি ইট বেঁধে পানিতে নেমে লাশটি ডুবিয়ে রাখে।
উল্লেখ্য গত বুধবার ২ সেপ্টেন্বর দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ভাজন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পূর্ব পাশে কুমার নদের পাড়ে কচুরীপানার মধ্যে স্থানীয়রা বস্তা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয় । পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত নামা পুরুষের (৩০-৪০) বস্তাবন্দী গলিত লাশ উদ্ধার করে । লাশটি ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। গত ০২/০৯/২০২০ তারিখ ময়না তদন্ত শেষে লাশের কোন দাবিদার না থাকায় বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।