বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের শ্রীযুতপুর গ্রামে গত সোমবার সকালে (২৩-১১-২০) এলাকায় প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় রোববার (২৯ নভেন্বর) সকালে এবাদুল ফকির বাদি হয়ে ৮৪ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত করে তিন হত্যায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয় । এ হত্যাকান্ড মামলার ৩নং আসামী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর শেখ (৪৫) সহ ৬৫ জন আসামী মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে । এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া ।
উল্লেখ্য গত সোমবার (২৩-১১-২০) সকাল ৮টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের শ্রীযুতপুর গ্রামে উক্ত ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুলের সমর্থকদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় ২০জন আহত হয়। প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত কালাম শেখকে (২৫) ওইদিন রাজৈর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় আহত কালাই ফকির ও সাহিদ মোল্লাসহ ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কালাই ফকির (৪৫) ও রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহিদ মোল্লার (৪০) মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় দফায় দফায় বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও ভয়াবহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে । পুলিশ দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রতিহত করতে গেলে সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল বাসার ও এসআই সালামসহ ৬জন পুলিশ আহত হয় ।
মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া বাংলার নয়নকে বলেন, উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলার ৬৫জন আসামী মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদের নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।