শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫০ অপরাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতি ইউনিয়ন এর কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে ইটের ভাটা। এতে পরিবেশ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ভাটার কারণে বিরুপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। জ্বালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় উজার হচ্ছে বনভূমি। ইট ভাটার কারণে উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি; কালো ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষেতে মড়ক দেখা দিয়েছে।
কুমার নদ থেকে সারাবছর ধরে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালি ও কৃষি জমির ‘টপ সয়েলের’ সহজলভ্যতার কারণে এরইমধ্যে গড়ে উঠেছে ইটের ভাটা।
একেবারেই গ্রামীণ এলাকা ১২৬ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাত্র ২০০ গজের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে ইট ভাটা।
এভাবে কৃষি জমির ওপর ইটের ভাটা গড়ে ওঠায়, ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে । সেইসাথে নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশগুলো বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের কারণে ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকায় পরিণত হচ্ছে। ইট ভাটার চিমনির ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগ বালাই ছড়াচ্ছে। ধোঁয়া ও ধুলা দূষণে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। এদিকে, ইটভাটাগুলোর আশপাশ এলাকায় দিন দিন বাড়ছে শ্বাসকষ্টসহ বায়ু দূষণজনিত রোগীর সংখ্যা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুসলিম পাড়ায় কৃষি জমি ধ্বংস করে ইটের ভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। মামুন মিয়ার মালিকানাধীন একটি ইটের ভাটা স্থাপন করা হয়েছে। ইট ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোন ছাড়পত্র।
গ্রামের বাসিন্দার অভিযোগ, ইট ভাটার ধুলাবালি ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। কৃষি জমিতে এভাবে ইট ভাটা করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাসিন্দা বলেন, সকাল থেকে ভাটার কাজ শুরু হয়, এলাকায় চলাচল করা যায় না, খুব কষ্ট হয়, বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদের বেশি বিপাকে পড়তে হয়।
রতন বিশ্বাস নামে এলাকার বাসিন্দা বলেন, এই এলাকার ইট ভাটায় প্রচুর ট্রাক আসা-যাওয়া করে। এইসব ট্রাকের ধুলাবালিতে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে। ভাটার কালো ধোঁয়ায় গাছপালা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সরেজমিনে যাচাই করলে কোনো ক্রমেই কৃষি জমিতে এসব ভাটা করার অনুমতি দিতে পারতো না। অতি দ্রুত ইটভাটা অপসারণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন সে আশা এলাকাবাসীর।