রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
সালথায় বল্লভদী সাহিত্য উৎসব ও সম্মাননা প্রদান মুকসুদপুরে ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময় মুকসুদপুরে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা মুকসুদপুরে সিনজেনটার কীটনাশক নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে করনীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরে ৫৩ তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুর পৌরসভার সেবা কার্যক্রম স্থবির, চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী মুকসুদপুরে দেশীয় অস্ত্র ও পিক-আপসহ ৬ ডাকাত আটক গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এম. আনিসুল ইসলাম ভুলু কোটালীপাড়ায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা মুকসুদপুরে ৪৬তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
মুকসুদপুরে জরাজীর্ণ টিনসেট ঘরে চলছে রোকেয়া বিদ্যা নিকেতনের পাঠদান

মুকসুদপুরে জরাজীর্ণ টিনসেট ঘরে চলছে রোকেয়া বিদ্যা নিকেতনের পাঠদান

বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের বাসুদেবপুর রোকেয়া বিদ্যা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ টিনসেট ঘরে চলছে পাঠদান। কয়েক বার নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেও বিদ্যালয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। একই ইউনিয়নে অবস্থিত অন্য বিদ্যালয়ে যেখানে ভবন দরকার নেই সেখানে ভবন নির্মান হলেও অদৃশ্য কারনে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত বিদ্যালয়টি।

এর ফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে চলছে ক্ষোভ। রোকেয়া বিদ্যা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি উপজেলার উজানী ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রাামে ১৯৯৪ সালে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বালিয়াকান্দি গ্রামের মেজর (অবঃ) আক্তারুজ্জামান তার একক প্রচেষ্টা ও নিজ অর্থায়নে স্থাপিত হয়। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে ১ একর ৬৮ শতক জমির উপর স্থাপিত হয় এ বিদ্যালয়টি। এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক। প্রধান শিক্ষকসহ কমর্রত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১২ জন। বিদ্যালয়টিতে ১৯৯৭ সালে এমপিও ভূক্ত হলেও বিদ্যালয়ে টিনসেট ঘর গুলোর বেহাল দশা। লাইব্রেরির টিনসেট ঘরটি দেওয়ালের পলেস্তরা খুলে ফেটে গেছে দেওয়াল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষকরা ওখানে থেকেই দিচ্ছেন পাঠদান। করোনা কালীন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে করুন অবস্থা। বৃষ্টি আসলে টিনসেট ঘরে পানি পড়ে চেয়ার টেবিল, বেঞ্চ, বই খাতা ভিজে যায়। ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় জায়গা স্বল্পতার কারনে খোলা মাঠেও পাঠদান করানো হয়। অনেকেই আবার ঝড় বৃষ্টি সময় শিক্ষার্থীরা কাস করতে অপারগতা প্রকাশ করে। কয়েক বছর ধরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা সম্পর্কে জানালেও কোন কাজ হয়নি। ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সেজুতী জানান, ঝড় বৃষ্টি মধ্যে আমাদের কাস করতে হয়। পানি পড়ে বই পত্র নষ্ট হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন অভিভাবক জানায় বিদ্যালয়টি কি কারনে উন্নয়ন হয় না তা জানা নেই তবে কোমলমতী ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বিদ্যালয়টি উন্নয়ন করা জরুরী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন কয়েকবার নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2024 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com