শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
জলিরপাড়ে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষনের অভিযোগ গ্রাম্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ।।

জলিরপাড়ে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষনের অভিযোগ গ্রাম্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ।।

বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরের জলিরপাড়ে গ্রাম্য চিকিৎসক নিধান মন্ডলের বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই গৃহপরিচারিকা দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মুকসুদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে নিধান মন্ডল পলাতক রয়েছে বলে এলাকাবাসি জানান ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ।
অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহপরিচারিকা প্রায় দেড় বছর যাবত জলিরপাড় গ্রামে গ্রাম্য চিকিৎসক নিধান মন্ডলের বাড়িতে কাজ করে আসছে। ওই গ্রাম্য ডাক্তারের স্ত্রী চারু হালদার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চাকরি করেন। এ কারনে নিধান মন্ডল একাই বাড়িতে থাকেন। গত ১ মে বিকেলে নিধান মন্ডল তার বাড়ির গৃহপরিচারিকা কে মোবাইল ফোনে কল করে তার বাড়িতে আসতে বলেন। সে অনুযায়ি সে ওই বাড়িতে গেলে নিধান মন্ডল তাকে দোতলার একটি কক্ষে বসতে বলে বাড়ির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। পরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষন করে।
ভুক্তভোগীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমরা গরীব মানুষ। স্বামী কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে , তার আয়ে আমাদের সংসার চলেনা। তাই অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালাই এবং প্রতি সপ্তাহে সমিতির কিস্তি দেই। এর আগেও কয়েকবার ওই চিকিৎসক আমাকে কু-প্রস্তাব দেয় । আমি তার স্ত্রী চারু হালদারকে বলে দেই । তখন তার স্ত্রী আমাকে বলে তোমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে আমি জেনেছি তোমার আর কোন সমস্যা হেবেনা তুমি কাজ করো ।
কিন্ত যে সব সময় বাড়িতে থাকেনা । চলতি মাসের ১ তারিখে (১ মে ২০২২) মোবাইল ফোনে বলে, তুমি এখনই আমাদের বাড়িতে আসো। আমি সাড়ে ৪ টায় তার বাসায় গেলে আমাকে দোতলায় যেতে বলে পরে সেখানে গেলে গেট বন্ধ করে দেয় আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। লোক জানাজানির ভয়ে বিষয়টি চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্ত আমি ওই দিনের পর থেকে ওই বাসায় কাজ করতে না গিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকি । মন খারাপ কেন? কি হয়েছে আমার স্বামী আমার কাছে জানতে চাইলে দুই দিন পর তাকে সব খুলে বলি । এক পর্যায়ে সে আমাকে ছেড়ে দিবে বলে জানায় । আমি তখন আত্মহত্যা করবো বলে ঠিক করি । পরে পরিবারের লোকজন আমাকে সান্তনা দিয়ে থানায় অভিযোগ করতে পরামর্শ দিলে আমি শুক্রবার বিকেলে মুকসুদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি । আমি ওই ধর্ষকের বিচার চাই, যাতে আর কোন গরীব লোক টাকার অভাবে কাজে গেলে ইজ্জত হারাতে না হয় ।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক নারী থানায় এসে দক্ষিন জলিরপাড় এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসকের নামে ধর্ষনের অভিযোগ করেছেন । বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com