মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

কারা আসছেন মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদে

কারা আসছেন মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদে

মো.শহীদুল ইসলাম বেলায়েতঃ
দেশব্যাপী উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে ১ এপ্রিল। ২য় ধাপে ২১ মে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। প্রথমদিকে এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রায় ডজনখানিক প্রার্থীকে দলের হাই কমান্ডের কাছে দৌড়ঝাপ করতে দেখা গেছে। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ডজনের উপরে প্রার্থীর নাম শোনা গেছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ থেকে কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেয়া হবেনা এমন সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মহিউদ্দীন আহমেদ মুক্তু ব্যতিত অন্য কাউকে এখনও মাঠে দেখা যাচ্ছেনা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ফি ৭৫ হাজার টাকা হওয়ায় অনেকেই হতাস হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন।
আগামী মে মাসের ২১ তারিখ ব্যালটের মাধ্যমে ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাবির মিয়া, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এম.এম মহিউদ্দীন মুক্তু এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেম রাজ। এ তিনজনকে দেখা যাচ্ছে বিরামহীন ভাবে সমগ্র উপজেলায় গনসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নামে কয়েকজন থাকলেও মাঠে জনা দুয়েক বাদে অন্যদের জনসংযোগে তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা। পরিচিতির দিক দিয়ে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম এবং উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শাহরিয়া বিপ্লব অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে আছেন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে একটি ইসলামিক দল থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী আসতে পারেন।
মুকসুদপুর উপজেলার বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে অভিজ্ঞদের বিশ্লেষন পর্যালোচনা করলে যে চিত্র ফুটে ওঠে তাতে দেখা যায়, বিগত দুটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে যাদের সমর্থন দেয়া হয়েছিল তারা বেশ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন। এবারের প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়া যে একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দি, তা স্বীকার করতেই হবে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি যে জনসমর্থন পেয়েছেন তাতে সকলে বিস্মিত হয়েছেন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তিনি শক্তহাতে লড়বেন এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দীন আহমেদ মুক্তু একজন শান্ত স্বভাবের কোমল ও সজ্জন মানুষ হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত।  বিগত উপজেলা নির্বাচনে দলের সমর্থন পেয়েও তিনি পরাজির হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে তিনি সে পরাজয়ের জন্য মানুষের কাছে কতটুকু সহমর্মিতা আদায় করতে পাবেন তা এখই অনুমান করা সম্ভব নয়। তবে তার বিগত দিনের হিতাকাঙ্খিদের যদি সংগঠিত করে এবং দলীয় নেতা কর্মীদের মাঠে নামাতে পারেন তবে তিনি যে একজন শক্ত প্রার্থী তা বলাই যেতে পারে। তবে দলের কেউ যদি পিছন থেকে কোমরের রশি টেনে ধরেন তাহলে বিপদ। সর্বশেষের কনিষ্ঠ প্রার্থী আবুল কাশেম রাজ অল্পদিনের মধ্যে নিজেকে উপজেলায় যেভাবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছেন তাতে বিস্ময় প্রকাশ করতেই হয়। উপজেলার সকল ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে তিনি বেশ বড় ধরনের কর্মী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। প্রচুর বিত্তের অধিকারী রাজের বিত্তের প্রভাব যদি সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারেন, তবে উপজেলা নির্বাচনে তিনি একটা বেশ বড় প্রভাব ফেলবেন। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায় তিনি কাবির মিয়ার ঘাটিতে হানা দিয়ে খানিকটা এগিয়ে গেছেন। অপরদিকে আওয়ামীলীগ মসর্থিত যখন দলীয় কোন প্রর্থী নাই তখন রাজের লোভনীয় আহবানে অনেকে সাড়া দিলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। তবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে আবুল কাশেম রাজ মো.কাবির মিয়া ও মহিউদ্দীন আহম্মেদ মুক্তুর ভোট ভান্ডারে হাত দিবেন। সফলতা কতটুকু আসবে তা দেখতে সময়তো লাগবেই।
অপরদিকে ভাইাস চেয়ারম্যান পদে যারা আসছেন তাদের কতোজন হালে পানি পাবেন তা এখনই বলা যাবেনা। তবে অনুমান করা যায় কার সঙ্গে কার প্রতিদ্বন্দিতা হবে। তবে প্রাপ্ত তথ্য যদি সঠিক হয় এবং ইসলামী দল থেকে যদি কোন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন, তবে সে প্রার্থীও একজন শক্তিশালী প্রার্থী হবেন তা এখনই বলা যায়। নির্বাচনে তাদের দলীয় শক্তি কতখানি অর্জিত হয়েছে নির্বাচনের সুবাদে তার সেটা নিরিক্ষন করবেন বলেই মনে হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com