শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় চলাচলের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে নাহ।
বিপাকে পড়েছে এসব পরিবারের বয়স্ক নারী পুরুষ ও শিশুরা। স্কুল কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন, মহারাজপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হানিফ মেম্বার, ইয়াহিয়া শেখ, নুর ইসলাম, শাহজাহান শেখ, বাচ্চু খন্দকার, ইমারত শেখ, পাউচা, আমির শেখ, আবু শেখ, আওলাদ শেখ, হবি মাতুব্বর শেখ, চুন্নু মোল্যা দীর্ঘ ৩০ বছরের প্রাচীন রাস্তাটি আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলালের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি নাহ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জনসাধারণের দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তায় জোরপূর্বক দেয়াল তুলে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার প্রায় ১৫টি পরিবার। বর্তমানে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। অবরুদ্ধ এই পরিবারের অন্তঃসত্বা ও বয়োজেষ্ঠ রোগী ও স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বের হতে পারছে না।
জানা যায়, মহারাজপুর ইউনিয়নের ৪ নং পুর্ব মহারাজপুরে বসতি বাড়ির পার্শের দাগে ঈদগাহ অবস্থিত। উক্ত ঈদগাহে পশ্চিম পার্শে সরকারি পাকা রাস্তা রয়েছে। সরকারি রাস্তার দক্ষিন পূর্ব পাশের ২০ গজের মধ্যে দিয়ে ১৫/২০ টি পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছে। সংযোগ সড়কটির দিয়ে জনসাধারণের চলাচলে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পথটি ধরেই সেখানকার মানুষজনের দৈনন্দিন চলাচলসহ মুসল্লিরা মসজিদে যাওয়া-আসা করতো। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে পানির নিচে তলিয়ে যায়। এলাকার কিছু লোক ঈদগাহের মাঠ ফ্লোর পাকা করার কথা বলিয়া জোর পূর্বক ঈদগাহের দক্ষিন পূর্ব পার্শের রাস্তা উত্তর হইতে দক্ষিন পর্যন্ত পাকা দেয়াল নির্মান করে জনসাধারনের হাটা চলার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দীর্ঘ ২৫ বছরের চলাচলের রাস্তাটি দিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছে না।
এ বিষয়ে হানিফ মেম্বারকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী আশু মিয়া বলেন, ১০/১৫ টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এটা খুবই দুঃখ জনক। এ বিষয়ে ফারুক খান এমপি মহোদয় জানেন তিনি মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসার চেস্টা করেছি। কোন সমাধান করতে পারিনি। তিনি আরো বলেন বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। আশাকরি দ্রুত সমাধান হবে।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদ বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মীমাংসার করার জন্য বলেছি। তারা ব্যর্থ হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।