শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সম্প্রতি চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনোভাবেই চোরদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। চোরেরা যেন চুরির অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে এই উপজেলাকে। দোকানের মালামাল, অটোরিকশা, মসজিদের ব্যাটারী, জুতা স্যান্ডেল কোনোকিছুই ছাড়ছে না চোরের দল। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ করা হলেও কোনোভাবেই চোরের উপদ্রব না থামায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
একাধিক ভূক্তভোগিরা জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে পৌর সদরে সাংবাদিক বেলায়েত মিয়ার বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
গত ৬ সেপ্টেম্বর টেংরাখোলা গ্রামের সাংবাদিক কাইয়ুম শরিফের বাড়ির জালানা দিয়ে দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। প্রতি নিয়ত থানা মসজিদে মুসল্লিরা নামাজে ঢুকলেই জুতা বা স্যান্ডেল চুরি হচ্ছে। গত ১ সেপ্টেম্বর টেংরাখোলা পশ্চিমপাড়া শরিফ বাড়ি জামে মসজিদ থেকে আইপিএস এর ব্যাটিরীর চুরির ঘটনা ঘটে।
গত ১৭ আগস্ট চলতি বছর সন্ধ্যায় উপজেলার বোয়ালীয়া মোড়ে ভ্যান চুরির ঘটনায় চালক নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। সদর বাজারে প্রতিনিয়তই ভ্যান অটোগাড়ি চুরি হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তদারকি ও টহল না থাকায় অহরহ চুরির ঘটনা ঘটছে উপজেলা জুড়ে।
পুলিশের সঠিক তদারকি না থাকা সংঘবদ্ধ চোর চক্র। মূল্যবান সম্পদ এবং আয়ের উৎস হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকে। এই সংঘবদ্ধ চোরদের কাছ থেকে রক্ষা পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলছেন, আমরা এখন অনেক ভয়ে থাকি কখন সবকিছু চুরি হয়ে যায়। অতি দ্রুত এই সংঘবদ্ধ চোরদের গ্রেফতার করা না হলে চুরি থামবে না। তাদের অভিযোগ, চুরির পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর আর খোঁজ থাকে না। সাধারণ মানুষ হিসেবে আর কী করার আছে আমাদের? নিজেরা চুরি যাওয়া মালের সন্ধান করে এক সময় থেমে যেতে হয়।
এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার (ওসি) তদন্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চুরি রোধ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক মাসে চুরির ঘটনায় ৪ টি মামলা হয়েছে এসব মামলায় বেশকিছু চোরকে গ্রেফতারও করেছি। কেউ যদি চুরির অভিযোগ করে আমরা তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।