বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
মুকসুদপুরে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা মুকসুদপুরে সিনজেনটার কীটনাশক নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে করনীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরে ৫৩ তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুর পৌরসভার সেবা কার্যক্রম স্থবির, চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী মুকসুদপুরে দেশীয় অস্ত্র ও পিক-আপসহ ৬ ডাকাত আটক গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এম. আনিসুল ইসলাম ভুলু কোটালীপাড়ায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা মুকসুদপুরে ৪৬তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন মুকসুদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। আহত ২০ মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নিহত ২
মুকসুদপুরে অনুমতি ছাড়াই সরকারি স্কুলের গাছ বিক্রি

মুকসুদপুরে অনুমতি ছাড়াই সরকারি স্কুলের গাছ বিক্রি

বাংলার নয়ন সংবাদ
সরকারি নিয়মনীতি না মেনে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক-ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে।

উপজেলার গোবিন্দুপুর ইউনিয়নের ১৩৩ নং চক মাঝিগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে লালন মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের আঙিনার তেরোটি গাছের ডাল ও তিনটি বড় গাছ পরিবেশ, বন বিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা নাছরিন এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নার্গিস বেগমসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলে গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন। গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে গাছের ব্যাপারী (ক্রেতা) গাছগুলো কাটার উদ্দেশ্যে ডালপালা কেটে ফেলে। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ল্যাট্রিনের ইটও তুলে কোন ধরণের নিলাম ছাড়াই বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নার্গিস বেগমের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।

প্রধান শিক্ষক দিলরুবা নাসরিন ডাল কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গাছের ডালগুলো ভবনের ছাদের ওপর যাওয়ায় ফাঁটল দেখা দেয়। তাই ৭ হাজার টাকায় ডালগুলো বিক্রি করে দিয়েছি।’

মুকসুদপুর থানা পুলিশের এসআই সজীব কুমার মন্ডল অভিযোগে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘তদন্ত করে গাছ কাটার অভিযোগের বিষয় দেখা হচ্ছে। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়ে গাছ বিক্রি করেছি।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের গাছ কাটার বিষয়টি আমাকে জানায়নি। আমি স্থানীয়দের মাধ্যমে গাছ কাটার বিষয়টি জেনে ওই ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে বলেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2024 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com