শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের রূপ। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূন্যভূমি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্ব নন্দীত নেতা, মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়ন করছেন গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মুকসুদপুর উপজেলার উন্নয়নের রূপকার, জননন্দিত নেতা জনাব মু. ফারুক খান। তাঁর সার্বক্ষনিক তদারকিতে মুকসুদপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে রাস্তা, ঘাট, ব্রিজ, স্কুল কলেজের ভবন নির্মান সহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তায়নের মাধ্যমে। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যার ফলাফল, তলাবিহীন ঝুড়ির বদনাম থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এক নজরে দেখে নেয়া যাক ২০২৩ সালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উন্নয়নে গোপালগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মুহাম্মদ ফারুক খানের দৃঢ় নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রেষ্ঠ সফলতা।
মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানের সভা সমাবেশ করার লক্ষ্যে নির্মিত হয় মুকসুদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ফারুক খান মিলনায়তন, উপজেলা চত্বরে অফিসার্স কোয়ার্টার , মুকসুদপুর উপজেলা চত্বর ও লেকপাড় নির্মান সহ জনগন ও যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য বিভিন্ন নদী ও খালের উপর বড় ৮টি বড় ব্রীজ ও ২০০ টি মাঝারি ও ছোট ব্রীজ এবং কালভার্ট নির্মাণ করে রাস্তার সংযোগ স্থাপন করা হয়। ফলে উপজেলার যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এসব ব্রীজের মধ্যে রয়েছে জলিরপাড় ব্রীজ, ছোট বাহাড়া ব্রীজ, পাথরাইল ব্রীজ, কৃষ্ণাদিয়া ব্রীজ, জানবাগ ব্রীজ, বাটিকামারি ব্রীজ, পারইহাটি খাঞ্জাপুর ব্রীজ, ফকিরহাট খোলা ব্রীজ। এইসব ব্রীজ নির্মাণ ছাড়াও শিক্ষা ব্যবস্থায় অধিকতর সুযোগ ও উন্নয়ন সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চার তলা বিশিষ্ট দৃষ্টি নন্দন ভবন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ, বাটিকামারী কলেজ, উজানী কলেজ, জলিরপাড় কলিগ্রাম বঙ্গরতœ কলেজ, শুধু তাই নয় ৪ তলা বিশিষ্ট ২ টি মাদ্রাসাও রয়েছে এসব ভবন নির্মান এর মধ্যে কমলাপুর মাদরাসা, শেখ ফজিলাতুন নেছা মাদরাসা ও বাটিকামারী বাহাড়া মাদরাসা।
মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল প্রাঙ্গনেও ১৭টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো : সাবের মিয়া জসিমুদ্দিন মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ফারুক খান উচ্চ বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া নিজামুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, কমলাপুর এমএ খালেক একাডেমী, গোলাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বানিয়ারচর সুর্যকান্ত জানকি উচ্চ বিদ্যালয়, উজানী উচ্চ বিদ্যালয়, বেজড়া জসিমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, বহুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, বাটিকামারী উচ্চ বিদ্যালয়, কহলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গোহালা টিসিএল উচ্চ বিদ্যালয়, দিগনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ছাগলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ইন্দুহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, গুনহার উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে আরো কয়েকটি ৪ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো হলো : প্রভাকরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিগ্রিকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১তলা থেকে ৩য় তলা ভবন নির্মান করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপদের উন্নয়নে ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মুকসুদপুর উপজেলার যাতায়াত বাবস্থার উন্নয়ন করে উপজেলা সদর সহ প্রতিটি ইউনিয়নে যাতায়াতের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমেও জনগণ বা যানবাহনের চলাচলে যাতে কোন ভোগান্তি না হয় সেজন্য নির্মিত হয়েছে উজানী জলিরপাড় সড়ক, রিসাতলা-রাজপাট সড়ক, জলিরপাড় গোহালা সড়ক, মুনিরকান্দি- সিন্দিয়াঘাট সড়ক, জলিরপাড় সিন্দিয়াঘাট সড়ক, টেকেরহাট গোপালগঞ্জ সড়ক।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন ও চিকিৎসাকে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় কয়েকটি হাসপাতাল নির্মাণ করে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
মুকসুদপুর সদর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। গোবিন্দপুর ইউনিয়নে, পশারগাতি ইউনিয়নের কৃষ্ণাদিয়ায়, বহুগ্রাম ইউনিয়নের গাড়লগাতিতে মা ও শিশু সেবা প্রদানে ১০ শয্যার একটি করে হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হওয়ায় দেশে এবং বিদেশে বর্তমান সরকার ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে কুমার নদের পাড়ে কৃষ্ণাদিয়া বাজারের সকল ব্যবসায়ী ও এলাকার জনসাধারণের দীর্ঘ দিনের পানি ব্যবহারের সমস্যা নিরসন কল্পে বিশাল ঘাটলা নির্মাণ করে এ সমস্যা দুর করা হয়েছে। এয়াড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ছোট বড় ঘাটলা নির্মান করা হয়েছে।
উপজেলার সকল ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্মপালন ও ধর্ম চর্চার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিপুল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দিয়ে আধুনিক মসজিদ ও মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। নিয়মিত সেখানে ধর্ম চর্চা করছেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। এসব স্থাপনাগুলো হলো : উপজেলা সদরের মুকসুদপুর মডেল মসজিদ। বাসুদেবপুর কালি মন্দির।
মুকসুদপুর পৌরসদরের কুমার নদের পাড়ে কয়েক কোটি টাকা ব্যায় করে সুবিশাল ও দৃষ্টিনন্দন পৌর ভবন নির্মান করা হয়েছে। ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের পাদদেশে নির্মিত বিশাল পরিসরের পৌর ভবন মহাসড়কের যাত্রীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে অতি সহজেই। সেবা প্রত্যাশীদের পদচারনায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর ভবন থাকে সরগরম। পূর্বের তুলনায় সেবার মান উন্নীত হওয়ায় সকলকেই সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
উপজেলার প্রায় সকল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ছিল জরাজীর্ন। ফলে পরিষদের কার্যক্রমে যেমন বিঘœ সৃষ্টি হতো তেমনি ইউনিয়ন বাসীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হতো। সে সমস্যা নিরসনের জন্য ইতিমধ্যে ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে। এখন আর তাদের চেয়ারম্যান বা মেম্বারদের বাড়িতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়না। বর্তমান সরকারের ব্যপক উন্নয়নে উপজেলার সাধারণ মানুষ যেমন সুফল ভোগ করছে তেমনি প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং আওয়ামীলীগের ভীতকে আরো শক্ত করেছে।