মোঃ বাদশাহ মিয়া: বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেসবাহ বলেছেন, বর্তমানে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে, সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে জনগণকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে কোন অপকৌশল যেন দেশকে বিপদে ফেলতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী দিনের মুকসুদপুর হবে বিএনপির ঘাটি। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে দেশের জন্য বিএনপির হয়ে কাজ করতে হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহাজ্জাদ মহসিন খিপু মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিব জান মিয়া, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম লিটুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকদলের আহবায়ক সাজ্জাদুল আলম রিপন, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক ভিপি সৈয়দ কামরুজ্জামান টুটুল, সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নান মুন্সীসহ উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন বিএনপিসহ অনান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে বিভেদ ভুলে একত্রে বিএনপির হয়ে কাজ করতে হবে। আগামীতে বিএনপির নেতৃত্বে এ দেশ পরিচালিত হবে। বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাদের
আগামির দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আমাদের নেতা যে ৩১ দফা দিয়েছেন তা মানতে হবে বলেও জানান তারা।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহাজ্জাদ মহসিন খিপু মিয়া সভাপতির বক্তব্যে মহান বিজয় দিবসের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ফোর্স গঠন করে সম্মুখ যুদ্ধ করেছিলেন আমাদের মহান নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

বর্তমানে মুকসুদপুরে স্থানীয় রাজনীতির বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, খান্দারপাড়া যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছি যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি এখানে ছিল ফ্যাসিবাদের ঘাটি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে , তবে ফ্যাসিবাদের দোষর এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে।

‘মাম্মি গেল বাপ্পি এলো আমাদের ভাগ্যের কি পরিবর্তন হলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের এলাকায় আর দুঃশাসন দেখতে চাই না। হানাহানি মারামারি মুক্ত একটা মুকসুদপুর চাই। যেখানে হিন্দু মুসলিম একসাথে অনায়াসে চলতে পারবে ভয়ডরহীন। এছাড়া, আমাদের এমন বাংলাদেশ গড়তে হবে তা হবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোপালগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক সাজ্জাদুল আলম রিপন বলেন, মুকসুদপুরের মানুষ একটি সোনার মানুষ পেয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেসবাহকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাইলে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক ভিপি সৈয়দ কামরুজ্জামান টুটুল বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়নুল আবেদিন মেসবাহকে এগিয়ে নিতে সবাই বিভেদ ভুলে কাজ করুন ।
জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সত্যের দিকে থাকবেন না মিথ্যার দিকে থাকবেন এখনই বেছে নেয়ার সময়। সত্য আর ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বাধা থাকলেও সত্যের জয় হবে। আপনাদের সকলকে নিয়ে আগামী দিন সুন্দর গোপালগঞ্জ গড়তে সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেসবাহ’র পক্ষে থাকবেন এমন আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হান্নান মুন্সি বলেন, জয়নুল আবেদিন মেসবাহ একটা সোনার ছেলে। সোনার ছেলে পেয়েছি আমরা। খান্দারপাড়া ইউনিয়নের জনগণ বিএনপির পক্ষে থাকবে বলেও জানান তিনি।