বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
বাংলার নয়ন রিপোর্ট:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব মজুমদার (৪৯) মারাত্মক আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় বাজারে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন।
আহত বিপ্লব মজুমদারকে প্রথম মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়।
বিপ্লব মজুমদার মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জলিরপাড় গ্রামের রাজনীতিবিদ নিত্য মজুমদারের ছেলে। দুপুরে বিপ্লব জলিরপাড় মাছ বাজারের কাছে গেলে খলিল শেখের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন তার ওপর হামলা করে। প্রায় ৩০ মিনিট তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলিরপাড় জে.কে.এম.বি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খলিল শেখ গংদের সাথে বিপ্লব মজুমদারের বিরোধ চলে আসছিলো। গত উপজেলা নির্বাচনে খলিল শেখ বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়ার সমর্থক ছিলেন।
বিপ্লব পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস.এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তু মুন্সিকে সমর্থন করেন। নির্বাচনের পরের দিন খলিল শেখের নেতৃত্বে একদল লোক জলিরপাড় বাজারে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তু মুন্সির সমর্থক মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি এনায়েত হোসেন লিপনের গাড়ি ভাংচুর করে।
এ ছাড়া তারা ওই দিন ৪ আওয়ামী লীগ নেতাকে মারপিট করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খলিল শেখ ও তার লোকজন জলিরপাড় খেলার মাঠে বিপ্লব মজুমদারকে মারপিট করেন। এ ঘটনায় খলিল শেখ গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করেই পরিকল্পিতভাবে বিপ্লব মজুমদারকে মারপিট করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার জানান, রাজনৈতিক, স্থানীয় নির্বাচন ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিপ্লব মজুমদার ও খলিল গংদের বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে মামলা মকদ্দমা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এ বিরোধকে কেন্দ্র করেই খলিল শেখ গং বিপ্লব মজুমদারের উপর হামলা করেছে।
এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ঘটনস্থালে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত খলিল শেখ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, মারপিটে বিপ্লবের বাম হাত ভেঙ্গে গেছে। পায়ে আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া পিঠে মারাতœক আঘাত থাকায় তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এ কারণে তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।