বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
খোন্দকার রুহুল আমিন (মুকুল):
মাদারীপুরের রাজৈরে বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার (৩২) হত্যা মামলার আসামীদের অবিলন্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। নৃংশস এই হত্যার প্রধান আসামী উপজেলার বাজিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও তার গংদের অবিলন্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার সাধুর ব্রীজ নামক স্থানে রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসি ও ছাত্রীরা।
মানবন্ধন চলাকালে বাজিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলিমুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সানোয়ার হোসেন, কামরুল আহসান মুকুল, সাজাহান মাষ্টার, সুমি হাওলাদার, মোস্তফাজুর রহমান হাওলাদার, বাবু হাওলাদার, এ্যানি হাওলাদার প্রমুখ । এ সময় বিক্ষোভকারীরা রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করায় সড়কের উভয় পাশে কয়েকশত যানবাহন আটকা পরে যায়। ফলে দুরপাল্লার যাত্রী সাধারন চরম দুর্ভোগের শিকার হয় ।
খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় । মামলার বাদী সোহেলের ভাই বাবু হাওলাদার জানান, এ খুনের মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যন সিরাজুল হক হাওলাদার সহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য ওসি সাহেবকে বার বার দাবী জানালেও তিনি দীর্ঘদিন যাবত টালবাহানা করে আসছে । এ কারনে আমরা আজ মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষেভ করতে বাধ্য হয়েছি ।
উল্লেখ্য রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদারের বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধ ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তারের জের ধরে গত ৯ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন মিলে রাজৈরের মজুমদার বাজারের ব্রিজের কাছে সোহেল হাওলাদারকে একা পেয়ে কুপিয়ে আহত করলে দ্রুত রাজৈর উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সোহেলর অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
ওসি মোঃ শাহজাহান জানান, মামলার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়েছি । অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে ।