বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
দখল আর দূষণে অনেকটায় প্রাণ হারাতে বসেছে টেকেরহাট বন্দরের জিয়া খাল। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছে অবৈধ স্থাপনা ও জিয়া খালটি। বিভিন্ন স্থাপনা ও খালে বাধ দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। রাজৈর পৌর মেয়র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল খনন কাজ শুরু করেছেন।
রাজৈরে ২০টি খাল নিয়ে ১ আগস্ট সংবাদ প্রকাশের পর জিয়া খালটি উদাধার করে খনন করা হবে মিল্কভিটা কাঠের পুল থেকে শরু করে ১নং ব্রিজ পযর্ন্ত। খালটি খনন করায় খুশি এলাকাবাসী।
সরোজমিন গিয়ে দেখা যায়, খাল দখলের কবলে পড়েছে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটের পাঠেরপুল মিল্কভিটা জিয়া খাল খনন কাজ শুক্রুবার বেলা ১১টা থেকে শুরু করা হয়।খালটি খননের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজৈর পৌর মেয়র শামিম নেওয়াজ, ওয়ার্ড কাউন্সিলার বাবলু বাঘা,সেলিনা জাহাঙ্গীর ও এলাকাবাসী।
এক সময় এই খালে নৌকা করে মানুষ মালপত্র নিয়ে যাতায়াত করত। এখন ময়লা আর বাধ দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করে ছিলেন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর দাবী অতি শীঘ্র খাল পুনরুদ্ধার করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ সৃষ্টি করার জন্য পৌর ময়েরকে জানায় এলাকাবাসী।
এলাকা বাসীর জানায়, ময়লা আবর্জনায় ফেলানোর কারনে খাল থেকে দুর্গন্ধ হতো। পৌর মেয়র খালটি খনন করায় আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে। এখানকার কৃষকরা সেস কাজের জন্য খালটি ব্যবহার কতে পারবে।
৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার বাবলু বাঘা বলেন, মিল্কভিটার স্বরমঙ্গল খালটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ময়লা ফেলে খালটি প্রায় ভরাট করে ফেলেছে। এছাড়াও দখলদাররা খাল দখল করে বাড়ী নির্মাণ এবং বাড়ীতে যাওয়ার রাস্তা নির্মানের ফলে খালে পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই পৌর মেয়র এর উদ্যেগে খালটি খনন কাজ চলছে।
রাজৈর পৌর মেয়র শামীম নেওয়াজ প্রদিনের সংবাদকে বলেন,খালটি ময়লা আবর্জনায় পরিত্যক্ত ছিলো।মশায় উৎপত্তি ও দুর্গন্ধে মানুষ চলাচল করতে কষ্ট হতো। এখানে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।এলাকর মানুষের সহযোগীতায় খলটি খনন কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার মানুষের শান্তির জন্য খালটি পৌরসভার ২ও ৩ নং ওয়ার্ডের স্বরমঙ্গল মিল্কভিটার থেকে শরু করে ১নং ব্রিজ পযর্ন্ত খালটি খনন করা হবে। পৌরসভার সবকটি খাল দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচীর অংশ হিসেবে খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা।