বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
৫ মাস বেতন না পেয়ে কষ্টে কাশিয়ানীর ৩৭ স্বাস্থ্যকর্মী কোটালিপাড়ায় দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে না গিয়েই স্মৃতি রানী নিচ্ছেন বেতন থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কপ২৯-এ জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং প্রাক-২০৩০ উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনের আহ্বান সমকাল’র নির্ভীক সাংবাদিক গৌতম দাসের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী বরিশালকে পুনরায় শস্যভান্ডারে রূপান্তর করা হবে- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা কাশিয়ানী নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘হয়রানীর’ অভিযোগ ফরিদপুরে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে বিধবার জমি দখলের অভিযোগ মাদক না ব্যাংক ঋণ খেলাপি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার মুকসুদপুরের দিগনগরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, বাড়িঘর লুটপাট-ভাঙচুর
রাণীনগরে ১০ নারী মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

রাণীনগরে ১০ নারী মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

নাজমুল হক নাহিদ, নওগাঁ:
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের নারীরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। প্রাণে বাঁচলেও হারিয়েছেন সমভ্রম। তারাই মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন ও গুপ্তচরের কাজ করেছেন।

অথচ তাদের এই অবদানের কথা বহুলাংশে অশ্রুতই রয়ে গেছে। আজ রোববার নওগাঁ জেলা পুলিশ জেলার রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলাগ্রামের এমন ১০নারী মুক্তিযোদ্ধাকে (বীরঙ্গনা) সংবর্ধনা দিয়েছে।

এই ১০নারী মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বর্তমানে জীবিত ৬জন হলেন সুষমা পাল, কালী বালা, মায়া রাণী সূত্রধর, রাশমনি সূত্রধর, সন্ধ্যা রাণী পাল ও গীতা রাণী পাল। নারী মুক্তিযোদ্ধা বাণী রাণী পাল, ক্ষান্তা রাণী পাল, রেনু বালা ও সুষমা সূত্রধর বেঁচে নেই। গত বছর ৪ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে ওই ১০ নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ওই ১০ নারী মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উপহার দিয়ে সংবর্ধনা জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া। মৃত চার নারী মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে তাঁদের স্বজনেরা উপহার গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আক্তার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাণীনগর উপজেলা শাখার কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এ্যাড. ইসমাইল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, মুক্তিযোদ্ধা প্রদ্যুৎ কুমার পাল প্রমুখ।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং নিজেদের মহামূল্যবান সমভ্রম হারিয়েছেন এমন অনেক নারী দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে সামাজিক নিগ্রহ সয়ে জীবনটাকে বয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অনেকেই জানতেন না বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদানের কথা। বর্তমান সরকার বীর মায়েদের সম্মান দিয়েছে। তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই মায়েদের সংবর্ধনা জানাতে পেরে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হলাম।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2024 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com