রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
মুকসুদপুরে ওলামা মাশায়েখ, তাওহীদি জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ-স্মারকলিপি প্রদান মুকসুদপুরে সিসিডিবির কৃষি উপকরণ ও চেক বিতরণ রূপগঞ্জে যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা ভাংচুর কোটালীপাড়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস মুকসুদপুরে ব্যাবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি মুকসুদপুরে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় সকলকে সজাগ থাকার আহবান- সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেসবাহ রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে: প্রধান উপদেষ্টা ছিনতাই কমিয়ে আনতে পুলিশকে টহল বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মুকসুদপুরে জলাবদ্ধতায় ৫শ বিঘার ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

মুকসুদপুরে জলাবদ্ধতায় ৫শ বিঘার ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

বাংলার নয়ন সংবাদঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে জলাবদ্ধতায় ৫ শ’ বিঘা জমির ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের পূর্ব লখন্ডা পাথারের প্রায় ধান তলিয়ে গেছে। অপরিকল্পিভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও তেলিকান্দার খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

লখণ্ডা গ্রামের কৃষক মিন্টু কাজী বলেন, গোহালা ও ননীক্ষীর ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের পাথারের পানি অপেক্ষাকৃত নিচু পূর্বলখণ্ডা পাথার হয়ে তেলিকান্দির ছোট খাল দিয়ে গোহালার বড় খালে নেমে যেত। গোহালা ইউনিয়নের প্রসন্নপুর থেকে তেলিকান্দা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তেলিকান্দির খাল ভরাট হয়ে গেছে। তাই পানি নামতে পরেছে না। বৃষ্টির পানি এসে জমা হচ্ছে পূর্ব লখণ্ডার পাথারে। এ পানিই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। ওই পাথারে আমাদের ৫৫ বিঘা জমিতে রোবোর ধান রয়েছে। ধান কাটা শ্রমিক পাচ্ছি না। শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তুলতে পারব কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

পূর্ব লখণ্ডা গ্রামের কৃষক হান্নান বলেন,তেলিকান্দির খাল খনন করা হলে আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাব। মাত্র ৭শ’ থেকে ৮ শ’ মিটার ড্রেন নির্মাণ করে পাথার থেকে গোহালা খালে সংযোগ করে দেওয়া হলেও আমাদের পূর্ব লখণ্ডা পাথারে জলাবদ্ধতা থাকবে না। ধান নিয়ে এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবো।

ধানকাটা শ্রমিক শাম শেখ বলেন, এখানে ধানের গাছ পানিতে তালিয়ে গেছে। ধানের শীষ জেগে আছে। ধান কাটতে খুব কষ্ট হয়। তারপর পানির মধ্য দিয়ে ধান মাথায় করে বয়ে আনতে হয়। এতে কষ্ট আরো বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি পাথারে নামলেই জোক আক্রমণ করে। এসব কারণে শ্রমিকরা ধানকাটা ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছে।

গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাজী হারুন আর রশীদ মিরন বলেন, প্রতি বছর ধান পাকার পর বৃষ্টি হলেই ওই পাথারে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে ফসল নষ্ট ও কৃষকের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে খাল খনন বা ড্রেন নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে আবেদন করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বাড়ৈ বলেন, মুকসুদপুরের পূর্ব লখণ্ডা পাথারের জলাবদ্ধতা নিরসনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2024 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com