রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
ভাংগা, ফরিদপুর সংবাদদাতাঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বালু তোলার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে সর্বশ্ব হারিয়েছেন মোঃ মতিউর রহমান মিয়া। জানাগেছে ভাংগা উপজেলা আলগী ইউনিয়নের কুমার নদে নিজ প্রয়োজনে বালু তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মতি মিয়া। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার ভুমি অফিসে গিয়ে বালু তোলার অনুমতি পাবেন বলে কয়েক দিন যাবৎ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন এর মধ্যে বালু তোলার ড্রেজার মেশিন , পাইপ, পাম্প, বসান কুমার নদে। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় মেশিনটি তুলে ফেলতে সম্মত হন। মেশিন তুলে ফেলার আগেই চাঁদা দাবী করেন ভাঙ্গা উপজেলার ভুমি অফিসের ড্রাইভার সবুজ ও তহশিদার অফিসের পিওন জনি মিয়া। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় রাতের আধারে এসে মতি মিয়ার ২০০০ ফিট পাইপ, বোর্ড মেশিন পাম্প নষ্ট করে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেন। বিষটি স্থানীয় আলগী ইউনিয়নের তহশিদার মোঃ সৈয়াদ খান এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন যে বালু উত্তোলন করার কোন অনুমতি সরকারি ভাবে নেই। পাইপ নষ্ট করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষটি এসিলেন্ড স্যার জানেন। ভুক্ত ভোগী মতি সাথে আলাপকালে তিনি জানান আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আমি বালু উত্তোলন করার মেশিন বসিয়ে অনুমতি অপেক্ষায় ছিলাম। এসিল্যান্ড অফিসে অনুমিত আনতে যাওয়ার খবরটি জানতে পারে উপজেলা ভূমি অফিসের ড্রাইভার সবুজ ও তহশিদার অফিসের পিওন জনি মিয়া । পরে তারা বলেন কোন অনুমতি লাগবে না ২০ হাজার টাকা দিয়ে মেশিন চালু করো। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমার এ ক্ষতি করে যাহা এলাকাবাসী জানে। এলাকাবাসী জানান ভুমি অফিসের ড্রাইভার সবুজ ও তহশিল অফিসের পিওন জনি মিয়া কুমার নদের বাটিকামারী, আলগী, চরশোরদী, বাহারা এলাকাবার ড্রেজার মালিকদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিয়ে থাকেন। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় টাকার বিনিময়ে কুমার নদে আরো ১০/১২ বালু উত্তোলন মেশিন চলছে। এলাকাবাসি আরো জানায় মতি মিয়া নিজ প্রয়োজনে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে পথে বসে গেছে তাকে আইন অনুযায়ী মামলা দিলে জেল জরিমানা করতো কিন্তু রাতের আধারে চাঁদার টাকার জন্য এ ক্ষতি এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছে না। এ বিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের ড্রাইভার সবুজ ও তহশিদার অফিসের পিওন জনি মিয়া মোবাইল ফোনে কথা হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।