রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা সদর হাসপাতালের ভেতরে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। এসব থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় টেকা যায় না। এ অবস্থার মধ্যেই জরুরি, বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কয়েকজন স্বজন বলেন, এটা মুকসুদপুর সরকারি হাসপাতাল অথচ এর পরিবেশ এতটাই নোংরা যে এখানে এক মিনিট টিকে থাকা কষ্টকর। নিরুপায় হয়ে রোগী ও তাদের স্বজনেরা কোনোরকমে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন । হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের শয্যাগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপরিচ্ছন্ন বিছানার চাদরেই রোগীরা শুয়ে আছেন।
মহিলা ওয়ার্ডের একাধিক রোগী বলেন, হাসপাতালের শয্যা দেখলে এতে কেউ থাকতে চাইবেন না। কিন্তু বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অপরিচ্ছন্ন শয্যায় রোগীরা থাকছেন। এসব শয্যায় অবস্থান করায় রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ—দুই জায়গার পরিবেশই নোংরা। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। জরুরি বিভাগে বারান্দায় রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, শয্যার নিচেই ময়লার ঝুড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের পাশ দিয়ে হাঁটলে শৌচাগার থেকে আসা দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সাহিদা বলেন, মুকসুদপুর উপজেলা সদর হাসপাতালের পরিবেশ খুব নোংরা এবং রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। দুদিন ধরে রয়েছি হাসপাতালে আয়া, সুইপার, ওয়ার্ড বয়ের দেখা পাইনি। বেডের নিচে নোংরা পরে রয়েছে দীর্ঘ সময়।
মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুল জানান, হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রতিবছর ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ সেই টাকা দিয়ে বিভিন্ন রুমে লাইট, ফ্যান এসি মেরামতে ব্যয় হয়েছে। হাসপাতালে সুইপার ও আয়া না থাকাই নোংরা পরিবেশ হওয়ার মুল কারণ। রোগিদের খাবারের মান উন্নত করতে খাবার সরবরাহকারীদের বলবো। হাসপাতালের শয্যাগুলোর অবস্থা আসলেই খারাপ। শিগগিরই কিছু নতুন শয্যা দেওয়া হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে।