রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌর সদরের ৫ নং গোপিনাথপুর ওয়ার্ড ও ৬ নং টেংরাখোলা ওয়ার্ডে বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার।
মুকসুদপুর পৌর সভার এই দুটি ওয়ার্ডের প্রায় ২শ পরিবার দীর্ঘদিন কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। দীর্ঘদিনের সৃষ্ট এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি কেউ।
অবশেষে বাংলার নয়ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে শুনে ছুটে গেলেন মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পানিবন্দি প্রায় ২শ পরিবারকে মুক্ত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন ইউএনও জোবায়ের রহমান রাশেদ।
তারই নির্দেশনা অনুযায়ী এলাবাসীদের সহযোগিতায় নালা খনন করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়।
বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পরিশ্রমে কমতে শুরু করে পানি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদ বাংলার নয়নকে বলেন, প্রায় দুই শতাধীক পরিবার জলাবদ্ধ ছিলেন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা বেশ ভোগান্তিতে ছিলেন। যে সকল স্থান দিয়ে পানি চলাচল করতো সেগুলো বসতভিটা গড়ে ওঠার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে৷ ফলে সামান্য বৃস্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য এলাকাবাসীদের নিয়ে নালা খনন করে দেওয়া হয়। আশা করি এই নালা দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশন হবে। ভবিষ্যতে এই জায়গায় একটি আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জনসেবায় সর্বদা উপজেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে।
টেংরাখোলা ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর ইসলাম বাকি মাস্টার বলেন, আমাদের এ কষ্ট দীর্ঘদিনের। একটু বৃষ্টিতে আমাদের বাড়ি ঘরে পানি জমে যায়৷ চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। পানি চলাচলের ছিল না কোন ব্যবস্থা। পরে আমরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে অবহিত করি। তিনি নিজেই আমাদের সঙ্গে এসে নালা খনন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করেন। এখন জলাবদ্ধ পানি কমতে শুরু করে।
জনস্বার্থে সহযোগিতার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলাম মোল্যা, মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ছিরু মিয়া, বাংলার নয়ন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, টেংরাখোলা ওয়ার্ডের কমিশনার বাবুল মোল্যা, বাকি মাস্টার, সাংবাদিক কাইয়ুম শরিফ, সুমন আহম্মেদ প্রমুখ।