শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
নগরকান্দা থেকে বাদশাহ মিয়াঃ
কুমার নদ খননের পর নদীর পাড় ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। ইতি মধ্যে ফরিদপুরের নগরকান্দায় দুটি বসত বাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। এছাড়াও নগরকান্দা সরকারি এম এন একাডমীর ভবন, থানা ভবন ও বাজারের কেন্দ্রীয় কালি মন্দির ভবন, একাধিক আবাসিক ভবন সহ পৌর বাজার এখন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
জানাগেছে, ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার কুমার নদের পুনঃখননের কাজ চলছে। কাজটি বাংলাদশ নৌবাহিনীর তত্বাবধানে বেঙ্গল গ্রুপ বাস্তবায়ন করছে। এই নদী পুনঃখননের ফলে নদীর পাড়ের কিছু কিছু এলাকায় ধস এবং ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার পাঁচ কাইচাইল এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসরত আশরাফ মাতুবরের বসত বাড়ী ইতিমধ্যে ভেঙ্গে নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। একই এলাকায় সেলিম ব্যাপারীর বসত ঘরের অধিকাংশ মাটি ধসে নদীতে চলে গেছে। ঝুঁলন্ত অবস্থায় ঘরটি ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ঘরটি নদীর পেটে চলে যাবে। এছাড়াও নগরকান্দা সরকারী এম এন একাডমীর নব নির্মিত ভবন, থানার নব নির্মিত ভবন, বাজারের কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের ভবন, একাধিক আবাসিক ভবন সহ পৌর বাজারের একাংশ ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে প্রায় দুইশত মিটার এলাকা নিয়ে বড় ধরনের ফাঁটল দেখা দিয়েছে। যা প্রায় ৩/৪ ফুট ডেবে গেছে। নদীর পাড়ে বসবাসরত ওই এলাকার বাসিন্দারা তীব্র ভাঙ্গন আতংকের মধ্যে দিয়ে দিন রাত পার করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত আশরাফ মাতুব্বর বলেন, আগের দিন একটু ফাটল দেখা গিয়াছিল। এতে ভয় পেয়ে রাতে বাচ্চাদের নিয়ে অন্যের ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। মধ্য রাতে হুড়মুড় শব্দ, উঠে দেখি আমার ঘর নদীর মধ্যে। এখন আমি আমার শশুর বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান বাকী বলেন, নদীর পাড়ের বসবাসরত পরিবার গুলোর এখন আতঙ্কে রাত কাটছে। নদীর পানি যত কমবে ততই ভাঙ্গন আরো বাড়বে।
পৌর এলাকার গাংজগদিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত নিত্য রঞ্জন মালা বলেন, আমাদের গ্রামের নদীর তীরবর্তী এলাকায় যে ভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে তাতে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। কখন যে বসতঘর নিয়ে ভেঙ্গে পড়ে নদীতে চলে যায়।
এ বিষয় ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রোকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে সরজমিনে লোক পাঠিয়েছি। এটা সমাধানের চেষ্টা চলছে।