বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
মোঃ তারিকুল ইসলামঃ
প্রায় ৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়নি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া সূত্রে জানাগেছে অচিরেই নতুন নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ও মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের ভাষ্যমতে অল্পকিছুদিনের মধ্যে সম্মেলন হতে পারে বলে শানা যাচ্ছে। অনেকের ধারনা সম্মেলন আগামী মাসের প্রথম দিকে হয়তো অনুষ্ঠিত হতে পারে। সম্ভাব্য সে সম্মেলন ঘিরে গাঝাড়া দেওয়ার চেস্টা করছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পদ প্রত্যাসীরা ইতোমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। মুকসুদপুর উপজেলা শাখার ছাত্রলীগের কমিটিতে আসতে আগ্রহীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে তদবির করছেন অনেকে। এদিকে গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান ও তার বড় মেয়ে কানতারা খান ছাত্রলীগে অবিবাহিত, নিয়মিত ছাত্র ও ক্লিন ইমেজদের দিয়ে কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই তারাই কেবল নতুন কমিটিতে আসবে এমন প্রত্যাশা করছে ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীরা। মুকসুদপুর উপজেলার ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন মোঃ নিভেল মোল্যা (মুকসুদপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি), বরকত ইসলাম (উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি), জব্বারুল আলম মাহফুজ, (সভাপতি সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রলীগ) ও শেখ সোহাগের (ছাত্রলীগ কর্মী) নাম শোনা যাচ্ছে। মুকসুদপুর পৌর ছাত্রলীগে তরিকুল , রাজু, হামিদ ও শাহরুকের নাম শোনা যাচ্ছে। অপর দিকে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রলীগে মোঃ চয়ন মিয়া, রিয়াজ আহম্মেদ রাজ, হাফিজুর রহমান ও রচি’র নাম শোনা যাচ্ছে। নিয়মিত ছাত্র এবং যাদের বয়স ২৯ বছরের কম তারাই নতুন কমিটিতে স্থান পাবে। সংগঠন শক্তিশালী করতে বিগত দিনে যারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন তারাই নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন। মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন আশরাফ বোরহান জানান, সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান ও তার বড় কন্যা কানতারা খান সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারাই মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন। বিগত সময় তাদের দলীয় কর্মকান্ডে উপজেলা ছাত্রলীগকে কতটুকু শক্তিশালী করতে পেরেছেন এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি দিতে পারিনি। বিভিন্ন কারনে কোন কলেজ বা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটিও গঠন করতে পারিনি। না পারার কারন অবশ্য উল্লেখ করেননি।
মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জানান, মুকসুদপুর ছাত্রলীগের কোন বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে তিনি কোন তথ্যও জানেন না বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, বিগত সময় যাদের গুরুত্ব পূর্ণ পদে দেওয়া হয়েছে তারা সংগঠনটিকে সুন্দর করে দাড় করাতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং কয়েকজন নেতিবাচক কর্মকান্ডের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। যে কারণে মুকসুদপুর উপজেলায় যোগ্য নেতৃত গড়ে উঠতে পারেনি।
আগামীতে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে পারবে এমন কোন নতুন মুখ এখনও দেখা যাচ্ছেনা। আওয়ামলীগের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনে যোগ্য নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোন মুখ এখন গড়ে না উঠার কি কারন, দলের অভিভাবকরা তা এখনই ভেবে দেখবেন এমন প্রত্যাশা করতেই পারেন বঙ্গবন্ধু ভক্তরা।