শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
সারাজীবন ফালতু প্যাচাল পাড়তি পাড়তি আমার আসল আলতু মিয়া নামডা ঢাকা পইড়া গেছে, সব্বাই আমারে ডাকে ফালতু মিয়া কইয়া। তাতে আমার দিলে কোন দুঃখু নাই। যে কয়দিন হায়াতে জিন্দেগী আল্লায় দেয় সেই কয়দিন ফালতু প্যাচাল পাইড়া যাব, তাতে আমার কপালে যাই থাক। জীবনেতো আল্লায় অনেক কিছুই দেখাইছে, আরো কতো কি দ্যাখবো সেই জানে। আমার চোক্ষের সামনে দ্যাখলাম কতোজনে ক্ষ্যামতা পাইয়া গদিআলা চিয়ারে বইসা ঠ্যাঙ্গের উপ্যার ঠ্যাং উঠেইয়া নাচায়, আবার রঙ্গীন পানি খাইয়া গলা ছাইড়া গান গায়, “দুনিয়াকা মজা লে লেও, দুনিয়া তুমহারি হ্যায়”। আঃ আলীমের গানের মতোন আবার দ্যাখলাম, “সকাল বেলা আমীর’রে ভাই, ফকির সইন্ধ্যা বেলা, এইতো নদীর খেলা’। মাবুদ মওলার খেইল আমার মগজে ঢোকেনা। শুনছি যাগো ১০ থেইকা ৩০ লাখ না দিলি পুলিশে চাকরী হইতোনা, চোক্ষের পলকে চাকরী নট কইরা দিত। সুজুগ পাইয়া তারাই আবার বড় কত্তাগো কোমরে দড়ি প্যাচাইয়া ফাটকা কলে আটকাইয়া দিতিছে। পাছেরত্যা দুই চাইরডা ঘাই গুতা মারে কিনা তা না দেইখ্যা কইতি পারবোনা। মওলাজীর এমন আজব খেইল দেইখ্যা আমারতো টাসকা লাইগা যাইতিছে। খেইলের কি শ্যাষ আছে! আমাগো ডা.ইউনুচ সাবরে চৌদ্দ শিকের মইধ্যে আটকানোর জন্যি যারা রাইতের ঘুম হারাম কইরা ফান্দে ফেলাইতে চাইছিল, উল্টা সেই ফান্দে তারাই আটকা পইড়া লাল দালানে বইসা চোক্ষের পানির সাথে নাকের পানি মিশেইয়া ঢেকসি পাড়তিছে। তাগো সিন্দুক ভরা টাকা আসমান সুমান ক্ষ্যামতা কোন কামেই আসতিছেনা। এমন কি কাম তারা করছে যে, দ্যাশ ছাইড়া পলানোর জন্যি সব্বাই পাগল হইয়া গেছে? তাইলে এ্যাতো রাবরাবানী কইরা কি লাভ হইলো! ইয়ারত্যা আমাগো কানছু চোরা অনেক ভালো ছিলো। প্যাটের জ্বালায় রাইতির বেলা, তাল, ব্যাল, নারকেল চুরী কইরা পুলিশের হাতে ধরা পইড়া কিল গুতা খাইয়া কয়দিন জেল হাজত খাইটা বাইর হইয়া আসতো। আবার ঢুকতো আবার বাইর হইতো। কিন্তু মরার আগ পর্যন্ত গিরাম ছাড়ে নাই। আর আমগো দ্যাশের বড় মাইনষেরা জানের ভয়ে দ্যাশ ছাইড়া বিদ্যাশে পলায়। তাগো ভাব দেইখ্যা মনে হয় বিদেশ গেলি কিয়ামতের আগ পর্যন্ত আজরাইল তাগো সাথে দেখা সাক্ষাত করবিনা। সইন্ধ্যার পরে ভাত খাইয়া টেলিভিশনে ঝাল মিষ্টি টকশো দেখতি বসলি কয়জনরে দেখতাম টকসোতে আর যারা থাকতো তাগো খালি ধমক পাড়তো। আমাগো মানিক ভাইতো সব্বাইরে খালি রাজাকার আর রাবিস কইয়া খুব মজা পাইতো। তারে সেদিন দেখলাম ক্যালার পাতায় শুইয়া রইছে। কারা বলে তার নরম আন্ডায় গুত্তা মাইরা গলাইয়া দিছে। আমার এক দাদারে দ্যাখতাম টকশোতে বইস্যা গলা ফাটাইয়া খালি কবিতা কইতো। কয়জন ছিলো, বিরুদ্ধ পাট্টিরে এমন সব কথা কইতো, যা শুনলি বয়রারও কান গরম হইয়া যাইতো। তাগো একজনরেও এক মাসের উপ্যারে হইলো টেলিভিশনে দেখতিছিনা। সব যেন কোথায় গায়েব হইয়া গেছে। একজন মানুষ চইল্যা গেছে, আর অমনি দ্যাশের সব বাঘ সিংহ ভল্লুক মেচি বিলাই হইয়া বন জঙ্গলে পলাইয়া গেল। আর ইয়াগো ডরে দ্যাশে মানুষ থরেকম্প ছিল। এ্যাতো দিনে বুঝলাম তাগো ডাবডাবানি ছিল হাওয়ার মিঠেই, দেখতি অনেক বড়, কিন্তু মুখে সান্ধাইলেই হারাইয়া যায়।