বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
মুকসুদপুরে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা মুকসুদপুরে সিনজেনটার কীটনাশক নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে করনীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরে ৫৩ তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুর পৌরসভার সেবা কার্যক্রম স্থবির, চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী মুকসুদপুরে দেশীয় অস্ত্র ও পিক-আপসহ ৬ ডাকাত আটক গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এম. আনিসুল ইসলাম ভুলু কোটালীপাড়ায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা মুকসুদপুরে ৪৬তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন মুকসুদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। আহত ২০ মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নিহত ২
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে গাছ লাগানোর নির্দেশ 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে গাছ লাগানোর নির্দেশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক:  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উন্নয়ন কাজের পরিবেশবান্ধব বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পাহাড় কাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে গাছ লাগিয়ে ল্যান্ডস্কেপ রেস্টোরেশন কার্যক্রম শুরু এবং উন্নয়ন কাজের পরিবেশগত দিকসমূহ নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়াণা হাসান কর্তৃক ১৫ অক্টোবর প্রেরিত এক আধাসরকারি পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায়।

সে প্রেক্ষিতে ২৭ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আহমেদ শিবলী স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা প্রেরিত আধা-সরকারি পত্রে উল্লেখ করা হয় যে, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড় মৌজার ১৯৪.১৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই পাহাড় কাটার মতো কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে।

পত্রে আরও বলা হয়, সরকারি প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড ব্যক্তি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত তৈরি করে। প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ পাহাড় একবার ধ্বংস হলে তা পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। বিশেষত, লালমাই পাহাড় দেশের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ এবং এর ধ্বংস পরিবেশের পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

পরিবেশ উপদেষ্টা আশা করে, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2024 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com