রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক জোন ৫/৩ এলাকার ইমারত পরিদর্শক তৌফিকুজ্জামান নকশা বহির্ভূত অবৈধ ভবন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আংশিক ভেঙে পুনরায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এই কাজে তাকে শেল্টার দিয়েছেন সিনিয়র কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।
ইমারত পরিদর্শক তোফিকুজ্জামান আওয়ামী লীগ নেতার সুপারিশে রাজউকে ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন।
রাজউকে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জোন ৫/৩ এর আওতাধীন পুরান ঢাকার বংশালে বেশ কয়েকটি নকশা বহির্ভূত অবৈধ ভবন ভেঙে ফেলা হয়।
নবাব কাটারা নিমতলী বংশাল রওশন নবাব টাওয়ার হোল্ডিং ৪১/১ (যার নির্মাতা কোম্পানি ভিভো বিল্ডার্স লিমিটেড) এই অবৈধ ভবন আংশিক ভেঙে ৬ দিন পরে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে পুনরায় নির্বাণ কাজ সম্পন্ন করেন।
তার দায়িত্বধীন এলাকার নির্মাণাধীন ভবনের ভুলত্রুটি বের করে মালিকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন এই ইমারত পরিদর্শক তৌফিকুজ্জামান।
শুধু তাই নয়, অবৈধ ইমারত নির্মাণে সহযোগিতা করে দেওয়া এবং অকুপেন্সী সনদ পাওয়ার অযোগ্য ভবনগুলোতে অবৈধভাবে ভবন মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ভবনে রাজউকের অনুমোদন নেই।
কিছু কিছু ভবন নির্মাণের তথ্যাদির বোর্ড থাকলেও পূর্ণাঙ্গ তথ্য অনেক ভবনে নেই এবং যেটুকু জায়গায় ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা থেকে অনেক বৃদ্ধি করে ভবন নির্মাণ কাজ চলমান আছে। অনেক ভবনে নেই নিরাপদ বেষ্টনি। অথচ নির্মাণ হচ্ছে অনুমোদন ছাড়াই ভবন।
মালিকদের কাছে বিভিন্ন সময় নোটিশ জারি করে ভবন মালিকদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভবন ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়া নিচ্ছে এই ইমারত পরিদর্শক। নির্দ্বিধায় অবৈধভাবে রাজউক নকশাবহির্ভূত বর্ধিত অংশসহ ভবন নির্মাণ যা দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
ইমারত পরিদর্শক তৌফিকুজ্জামানকে টাকা গ্রহণে রাজউক জোন ৫/৩ অথরাইজড অফিসার মেহেদী হাসানও সহযোগীতা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে তৌফিকুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন আপনারা কই পান এগুলা। ডাহা মিথ্যা কথা । যেখান থেকে তথ্য পেয়েছেন সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করেন।