শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
শহিদুল ইসলাম: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে রাইচরণ বিশ্বাস (৪০) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা নিখোঁজ। তিনি মুকসুদপুর উপজেলা সদরের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার সিনিয়র লোন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রাইচরণ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ভৈরব নগর গ্রামের মৃত বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে।
এ ব্যাপারে আশার মুকসুদপুর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ বাবুল আক্তার মুকসুদপুর থানায় একটি জিডি দায়ের করেছেন।
আশার মুকসুদপুর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ বাবুল আক্তার বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর সকালে রাইচরণ অফিসে আসেন। তিনি সকাল ৮ টার দিকে সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা আদায় করতে মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এলাকায় যান। তিনি দুপুর ২ টার মধ্যে অফিসে ফিরে না আসায় তার মোবাইলে ফোন দিয়ে বন্ধ পাই। তাৎক্ষনিক ভাবে আশা অফিসে উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে খুঁজতে বের হই। তাকে না পেয়ে বিষয়টি তার স্ত্রী মমতা হালদার ও মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাই। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত রাই চরণের সন্ধান মেলেনি। এ ব্যাপারে আমি গত ২৩ ডিসেম্বের মুকসুদপুর থানায় একটি জিডি দায়ের করেছি।
তিনি আরো বলেন, রাইচরণ গত ৮ মাস ধরে মুকসুদপুর ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। তার কোন আর্থিক কেলেংকারি নেই। কি কারণে তিনি নিখোঁজ হলেন তা বুঝতে পারছিনা।
এনজিও কর্মকর্তা রাইচরণের শাশুড়ী শেফালী সরকার (৫৫) বলেন, খবর পাওয়ার পর ২৩ ডিসেম্বর রাতে আমি মুকসুদপুরে ছুটে আসি। তারপর থেকে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করছি। কিন্তু এখানো তার কোন সন্ধান পাইনি। আমার জামাইয়ের কোন শত্রু নেই। সে অত্যন্ত বিনয়ী, সৎ , ভদ্র ও মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত ছিলো। আমি এবং আমরা জামাতাকে খুঁজে পেতে পুলিশ, প্রশাসন সহ সবার সহযোগিতা চাই।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, থানায় জিডি করার পর আমরা আশা এনজিওর কর্মকর্তা, কর্মচারী, তার পরিবারের সদস্য সহ বিভিন্ন লোকজনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তদন্তে রাই চরণের নিখোঁজ হওয়ার যুক্তিসংগত কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিবার ও এনজিও অফিস তার নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারেনি। তাকে খুঁজে বের করতে আমাদের অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।