শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
এম এ ইউসুফ, রাণীনগর (নওগাঁ):
নওগাঁর রাণীনগরে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক স্বামী মাসুদ রানাকে ১৮ দিন পর নিহত স্ত্রীর স্বজন ও স্থাণীয় জনতা আটক করে ঢাকার শাহ আলী থানায় সোর্পদ করে। খবর পেয়ে রাণীনগর থানাপুলিশ ওই রাতেই শাহ আলী থানায় গিয়ে মাসুদ রানাকে নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানা রাণীনগর উপজেলার সিম্বা গ্রামের আফছার আলীর ছেলে।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জহুরুল হক বলেন, গত ৩১ জুলাই রাতে স্ত্রী সাকিলা আক্তার শ্যামলিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গৃহবধুর বাবা আব্দুল সাত্তার মন্ডল বাদি হয়ে রাণীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পতলাক থাকায় স্বামী মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেছিল না।
এর মাঝে সাকিলার স্বজনরা ঢাকার শাহ আলী থানা এলাকায় গত রোববার সন্ধ্যায় মাসুদকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আটক করে থানাপুলিশে সোর্পদ করে। খবর পেয়ে রাণীনগর থানাপুলিশ রাতেই শাহ আলী থানায় গেলে মাসুদ রানাকে রাণীনগর থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
উল্লেখ্য, রাণীনগর উপজেলা সদরের সিম্বা গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মাসুদ রানা একই উপজেলার বেলবাড়ি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাকিলা আক্তার শ্যামলী (৩২) কে বিয়ে করে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে প্রায় আড়াই দুই মাস আগে প্রতিবেশি জনৈক তিন সন্তানের জননীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে মাসুদ রানা। বিয়ের পর থেকে প্রথম স্ত্রীর প্রতি শুরু করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
এনিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সমাধানের লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও সুষ্ঠু কোন সমাধান না হওয়ার একপর্যায়ে গত ৩১ জুলাই বিকেলে স্ত্রী শ্যামলীকে পিটিয়ে হত্যার পর মাসুদ রানা নিজেই শ্বশুর বাড়িতে খবর দেয় যে তাদের মেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ্য! এঘটনায় শ্যামলীর বাবা আব্দুস ছাত্তার বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় ওই দিন রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।