শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

মুকসুদপুরে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে যুবককে হত্যার অভিযোগ

মুকসুদপুরে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে যুবককে হত্যার অভিযোগ

বাংলার নয়ন রিপোর্টঃ

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালের সংঘর্ষের জের ধরে শাহ আলম (৫০) নামে এক যুবককে হাত-পা বেধে কুমার নদে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। । ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার টেকেরহাট সীমান্ত পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামে রাত ৮টা দিকে। শাহ আলম (৫০) একই গ্রামের মৃত আবদুল খালেক শেখের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি সভায় সম্ভব্য সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে সিন্দিয়াঘাট বাজারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিটন বয়াতির অনুসারি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলামের অনুসারিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধেঁ । এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মহিলাসহ ১০জন আহত হয় । আহতদের নিকটতম মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসে ভর্তি করা হয় । দুপুরে শাহআলাম রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি আহত চাচাতো বোন মিনা দেখে বাড়ী পথে রওনা হয় । এর পর থেকে শাহআলম নিখোঁজ হয় । অনেক খোজাখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি । এলাকাবাসী রাত ৭টা দিকে হাত-পা বাধা অব্স্থায় শাহআলমকে কুমার নদের পাড়ে পড়ে আছে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে রাত ৮টার সময় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে আসলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল জানান হাসপাতালে আনার পুর্বেই সে মারা গেছে। চাচাতো বোন মিনা জানায়, প্রতিপক্ষরা আমার ভাইকে হাত-পা বেধে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে। সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে । মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com