শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
বাংলার নয়ন সংবাদ:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে একটি লুট মামলায় হাজিরা দিয়ে এসে বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্যা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামের বাবুল মোড়লের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গোহালা ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও মামলার বাদী জানায়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত ১৫ অক্টোবর মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে কথিত বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং শাহআলম নামে (৫০) এক ব্যক্তির হাত পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকে চেয়ারম্যান গ্রুপ ও মোড়ল গ্রুপের মধ্যে হামলা, মামলা পাল্টা মামলা চলে আসছিল ।
এ ঘটনার জের ধরে গত ২৪ নভেন্বর রোববার মুকসুদপুর থানায় বাবুল মোড়লের স্ত্রী জমিলা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ৮৭জনের নাম উল্লেখ করে একটি লুট মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্যাসহ তার লোকজন মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়িতে এসে মামলার বাদী জমিলা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর, বৈদ্যুতিক মিটার, টিউব-ওয়েল, ও লুটপাট চালায়।
পরে সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং গোহালা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্যা, ইউসুফ শেখ, এমরান শেখ ও ফায়েক শেখকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে এ ব্যাপারে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হলে ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। মামলার বাদী জমিলা বেগম জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্যা ও তার লোকজন মামলায় হাজিরা দিয়ে এসেই আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) আবুল বাশার জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানসহ চারজন আটক করে থানায় নিয়ে যাই। পরে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হলে ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।