শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ তারিকুল ইসলামঃ
আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে এক যোগে শুরু হয় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিল। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ১টি গৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন ও ১৫৩টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিল ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে।
যেহেতু মুকসুদপুর উপজেলার প্রায় ৯৮% মানুষ আওয়ামীলীগের সমর্থক সেহেতু এসব কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল সংখ্যক পদপ্রার্থী তাদের প্রার্থীতার জন্য আবেদন করেন। প্রার্থীদের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দিতা থাকায় কোন ইউনিয়নেই কাউকেই মনোনিত না করে বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য সংসদ সদস্য মুঃ ফারুক খানের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন নেতাদের দরজায়। একজনের তদবির সুপারিশে কেউ এগিয়ে গেলে আরেকজনের জন্য তদবির সুপারিশে অপরজন পিছিয়ে পড়ছেন। এরই প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য মুঃ ফারুক খান উপজেলার প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঢাকায় তার অফিসে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফা গোপন বৈঠক করেছেন। সে সব বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কোন নেতাই মুখ খুলছেননা। বিচ্ছিন্নভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে, মহারাজপুর, ভাবড়াশুর, গোবিন্দপুর ইউনিয়নে উক্ত পদ দুটিতে পরিবর্তন নাও হতে পারে। মুকসুদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুজনের নাম নিশ্চিত হলেও সভাপতি পদে দুজনের মধ্যে কে আসছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সভাপতি ও সম্পাদক পদের দুটিতেই পরিবর্তন আসতে পারে তিনটি ইউনিয়নে। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসবে বলে শোনা গেছে। অন্যান্য ইউনিয়নের যে কোন একটি পদে পরিবর্তন নিশ্চিত বলে বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তবে ১৫৪টি ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এবারের প্রার্থী নির্বাচনে প্রার্থীর বিগত দিনের কর্মকান্ড, স্বাধীনতা যুদ্ধে পূর্ব পূরুষের অবস্থান, স্থানীয় নেতাদের প্রতি আনুগত্য, জনগনের সংগে সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়গুলি বিবেচ্য থাকবে বলে শোনা গেছে। ক্ষেত্র বিশেষ আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়টিও বিবেচনায় আসবে বলে অনেকের ধারনা। নিজ স্বার্থ অর্জনে যারা দলে ছিল বা ব্যক্তি সম্পর্ককে প্রাধান্য দিয়ে যারা দল করেছে বা দলে নাম লিখাতে চায় এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের উত্তর সুরীদের বিষয়ে সতর্ক না থাকলে দলের চেইন অব কমান্ড পূর্বের চেয়ে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে, যা মুকসুদপুরবাসি কামনা করে না।