রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
তারিকুল ইসলামঃ
এই দেশের উন্নয়ন করেছে আওয়ামীলীগ, আপনারা জানেন মুকসুদপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর বিএনপির কাছে পানির জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিলো সেটা তারা বরাদ্দ দেয়নি। এই উপজেলার মাত্র ৫টি ইউনিয়নে গাড়ি যেত আর বাকি ইউনিয়নগুলোতে নৌকা অথবা ট্রলারে যাতায়াত করতে হতো। কতজন বিদ্যুৎ এর সুবিধা ভোগ করতে পেরেছে । এখন দেখেন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। রাস্তা, ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট উন্নয়ন করা হয়েছে। আর একবছর পরে মুকসুদপুরের উন্নয়নের মতো কোন কিছুই থাকবে না। বিএনপির আমলে মুকসুদপুরের কোন উন্নয়ন হয়নি অথচ এখনো এখানে বিএনপি ভোট পায়। আগামী কোন নির্বাচনে যাতে বিএনপি কোন ভোট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারন এখানের সকল উন্নয়ন আওয়ামীলীগের সুতরাং আওয়ামীলীগ শতভাগ ভোটের দাবিদার। এখানে দৃষ্টি নন্দন পৌর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন হচ্ছে, শেখ রাসেল মিনি ষ্টিডিয়ামের কাজ প্রায় শেষের দিকে, মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে, এখানে দৃষ্টিনন্দন পৌর পার্ক নির্মান হবে, আগামী মাসের মধ্যেই পৌরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির কাজ উদ্বোধন করা হবে। শুধু মুকসুদপুরেই নয় সারা বাংলাদেশে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে এজন্যই বিশ্বের ৫জন সৎ রাজনীতিকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন। শনিবার দুপুরে মুকসুদপুর পৌরসভার চন্ডিবরদীতে মুকসুদপুর পৌরভবনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১৪ই ডিসেম্বর মহান বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে তিনি আরো বলেন বাঙ্গালী জাতিতে মেধা শুন্য করার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা যেটা আসবে সেটা অপূর্ণ থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় আপনাদের হয়তো অনেকের মনে আছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরেও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ বলেছিলো বাংলাদেশ টিকবেনা । তারা বলেছিলো বাংলাদেশ একটি বাসকেট কেস হবে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে নিয়ে তারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াবে কারন সেটাই তাদের পরিকল্পনা ছিল । বাঙালি এগিয়ে যাবে বাঙালি স্বাধীনতা পাইনি এটা তারা চায়নি। কিন্তু আজকে এইদিনটি আমরা বড় করে কেন পালন করব। বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এবং তারই সুযোগ্য কন্যা মাননী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে পাকিস্তানিরা এবং তাদের দুসরদের স্বপ্ন ধুলিস্যাত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দৃড় প্রত্যয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌছে দিয়েছেন। বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করার পরেও আমরা দেবে থাকিনি আমরা শুধু উন্নত হইনি আমরা এগিয়ে অনেক দুরে।
সভাপতিত্ব করেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র এ্যাড. আতিকুর রহমান মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহবায়ক কানতারা খান, মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আসমত হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুন্সী আতিয়ার রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আশরাফ আলী আশু মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মুক্তু মুন্সী, সাবেক পৌর মেয়র সাজ্জাদ করিম মন্টু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুকসুদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুন্সী আনোয়ার হোসেন।
এসময় ১২০ টি মসজিদ ও মন্দিরে কার্পেট বিতরণ করা হয়। ৫৬ জন হতদরিদ্রদের মাঝে ঐচ্ছিক তহবিলের তিনলাখ ৬৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।